পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সমস্যা এখনও পুরোপুরি মেটেনি। এই অবস্থায় তিব্বতে একটি বৃহৎ ড্যাম তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চিনের জিংপিং সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই মাথাব্যাথাক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের। সূত্রের খবর পরিবেশবিদদের কথায় চিন যে বিশাল ড্যাম তৈরির তোড়জোড় শুরু করছে তা ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদের জলের প্রবাহে সমস্যা তৈরি করবে। আর চিন সরকারে এই পদক্ষেপের মোকাবিলা করা করার জন্য ব্রহ্মপুত্রের নিম্ন অববাহিকা এলাকায় নতুন করে একটি বাঁধের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
চিন তিব্বতের মেডোগ কাউন্টি প্রকল্পটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মধ্য চিনের ইয়াংজি নদীর তীরে সর্বোচ্চ বাঁধটি ইতিমধ্যেই নির্মাণ করেছে চিন। তার নাম থ্রি গর্জেস। নতুন যে বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রতি বছর সেখানে থেরে ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। তিব্বতের ইয়ারলুং সাঙপো নামে খ্যাত সেই নদীটে আরও দুটি ড্যাম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তিনটি বাঁধকে থ্রি গর্জেস পরিকল্পনা নামে চিহ্নিত। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে খরচ কম। দূষণও কম হয়। তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। চিন চাইছে দেশের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন তিন গুণ বাড়াতে।
কিন্তু ভারত ও চিন ব্রহ্মপুত্রের যে অববাহিকা এলাকায় ড্যাম তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। এই ড্যামগুলি ভূমিকম্পের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের কথায় চিনের এই উদ্যোগ 'জলযুদ্ধ' তৈরির সূচনা করতে পারে। অনেকেই মনে করছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ জল সরবরাহের উৎসমুখ নিয়ন্ত্রণ করার মত অবস্থায় রয়েছে। চিনের এই পদক্ষেপ তিব্বত ও তিব্বতের প্রাকৃতিক সম্পদকে নিয়ন্ত্রণ করবে। তেমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রহ্ম চেলেনি। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেছিলেন যে চিনের এই পদক্ষেপ ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেবে। এই প্রকল্পটি যদি হিমালয়ের উৎসমুখ থেকে দূরে তৈরি হল তাহলে কোনও সমস্যা থাকত না বলেও জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। তবে একই সঙ্গে ভরতেরও বাঁধ তৈরির পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন চেলানি। তিনি বলেছেন এই পদক্ষেপে সমস্যা বাড়তে বই কমবে না।