ভারতকে টেনে নীচে নামাতে নয়া কৌশল চিনের, গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে ক্রমাগত অপপ্রচার চিনা সেনার

চীনা এবং পাকিস্তানি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দুর্বল এবং চিনের পিএলএকে শক্তিশালী দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

চিন সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সংঘর্ষের তৃতীয় বার্ষিকী উদযাপন করেছে। তরুণদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করার উপায় হিসেবে চিনা প্রচার যন্ত্র এটি ব্যবহার করেছিল।

এর জন্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা ধর্মান্ধ জাতীয়তাবাদী নেটিজেনদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই সময়ে, চীনা এবং পাকিস্তানি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দুর্বল এবং চিনের পিএলএকে শক্তিশালী দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

Latest Videos

অন্যদিকে, পিএলএ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) জুড়ে এই অনুপ্রবেশকে তার কৃতিত্ব হিসাবে প্রজেক্ট করে। এর মাধ্যমে চিনা সেনাবাহিনী দেশের তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে চায় যাতে তারা পিএলএ-তে যোগ দিতে প্রস্তুত হয়। অন্যদিকে মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত ভারতবিরোধী দাবি ছড়ানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে, পিএলএ জনসাধারণের মধ্যে একটি তথ্যগত এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রান্ত অর্জন করতে চায়। এ কারণেই সংঘর্ষের পর আহত ভারতীয় সেনা জওয়ানের ছবি ফাঁস হয়েছে। এছাড়াও তার ব্যক্তিগত বিবরণ যেমন রেজিমেন্ট এবং সার্ভিস নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছিল।

অরুণাচল প্রদেশ নিয়েও ভুল প্রচার

ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে দেখানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় 'দক্ষিণ তিব্বত'-এর মতো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য একটি ধারণা তৈরি করা যে সার্বভৌম ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনের দাবি আইন ও ইতিহাসের ভিত্তিতে। ভারত-চিন সীমান্তের সামগ্রিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ চিনের অযৌক্তিক কার্যকলাপকেই চিহ্নিত করে। মনে রাখা উচিত যে গালওয়ান সংঘর্ষে পিএলএ তার ৪০ জনেরও বেশি সৈন্যকে হারিয়েছিল। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সূত্রের মাধ্যমেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একই সময়ে, গালভান সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছেন।

দ্বিতীয়ত, সামরিক সামর্থ্যের ক্ষেত্রে সমতার দিক থেকে, পিএলএ এখন নিজেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর অভূতপূর্ব মোতায়েনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, যাদের যুদ্ধ প্রস্তুতির সকল স্তরে যুদ্ধের ক্ষমতা রয়েছে। তৃতীয় বিষয় হল, গত তিন বছরে ভারত চিন সীমান্তের কাছে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার দিকে নজর দিয়েছে। গালওয়ান সংঘর্ষ ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে এবং সীমান্ত এলাকায় সংযোগ বাড়ানোর জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল। নয়াদিল্লি দুর্গম সীমান্ত এলাকায় প্রবেশাধিকার এবং সংযোগ উন্নত করার চেষ্টা জোরদার করেছে। এই লক্ষ্যে, রাস্তা, সেতু, টানেল এবং এয়ারস্ট্রিপ নির্মাণ সহ বেশ কয়েকটি বড় পরিকাঠামো প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

সরকারী ঘর থেকে বঞ্চিত দুস্থ পরিবার! গুরুতর অভিযোগ বিডিও-র বিরুদ্ধে | Nadia News Today
বড় ঘোষণা শুভেন্দুর! BJP বিধায়কদের বেতনে Beldanga-য় ক্ষতিপূরণ ও মন্দির সংস্কার | Suvendu Adhikari
নিজের বিখ্যাত স্লোগানে 'নয়া পরিবর্তন' এনে আরও তীক্ষ্ণ করলেন যোগীজী, দেখুন | Yogi Adityanath
মুম্বইতে বেলডাঙা ইস্যু তুলে মমতার সরকারকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু, দেখুন | Suvendu Adhikari
দিলীপ ঘোষকে বেলেডাঙ্গায় যেতে বাঁধা পুলিশের, পুলিশকে একহাত নিয়ে যা বললেন দিলীপ