চোপড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে। কারণ কঙ্গনার সুরে কথা বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
চোপড়ায় রাস্তার ওপর ফেলে যুগলকে মারধরের ঘটনায় উত্তাল দিল্লি। শাসক দল বিজেপি চোপড়াকাণ্ডকে হাতিয়ার করে ইন্ডিয়া জোটকে চাপে ফেলতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপির অভিনেত্রী সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। সোমবার সংসদের বাইরে রীতিমত বিস্ফোরক কঙ্গনা। তিনি বলেন, '‘গত কয়েক দিন ধরে আপনারা দেখেছেন, তৃণমূল-সহ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা সংবিধান হাতে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে কী নাটক করছেন! কিন্তু বাংলায় যা হয়েছে, তার অনুমতিও কি সংবিধান দেয়? যে ভাবে ‘অবৈধ’ সম্পর্কের অভিযোগে শরিয়ত আইন বলবৎ করা হচ্ছে, তা সংবিধানে কোথাও বলা হয়েছে? আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আমার ‘ইন্ডিয়া’র সমস্ত সতীর্থের কাছেই এর উত্তর জানতে চাইব। রাহুল গান্ধীকেও এর জবাব দিতে হবে। গোটা দেশে এ নিয়ে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।'কঙ্গনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, চাইলে কি যে কোনও জায়গায় যে কোনও আইন প্রয়োগ করা যায়? কঙ্গনা চোপড়ার ঘটনাকে সরিয়ত আইনের সঙ্গেও তুলনা করেন।
যাইহোক চোপড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে। কারণ কঙ্গনার সুরে কথা বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন মণিপুরে যখন এক মহিলাকে নিগ্রহ করা হয়েছিল তখন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এখন চোপড়াতেও এক তরুণীকে নিগ্রহ করা হয়েছে। এখন তিনি সেখানে যাচ্ছেন না কেন - তাও জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
স্থানীয় সূত্রের খবর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন এই তরুণ আর তরুণী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে গ্রামে তাদের বিচারের জন্য সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। যার হর্তাকর্তা ছিল তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ট জেসিবি। সেখানেই জেসেবি দুই জনকে রাস্তাতেই মারধর করতে থাকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেসিবি মারধর করছিল বলেই ভয়ে কেউ তাদের উদ্ধার করতে যায়নি। পরে অবশ্য গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলেই জেসিবি পালিয়ে যায়। গাঢাকা দেয়। কিন্তু এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেসিবিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই ঘটনার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। যা নিয়ে রবিবার থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছে বিজেপি। পাশাপাশি রাজ্যের কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারাও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে তুলোধনা করছে।