ইমরান খেদাওয়ালা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা জামালপুর খাদিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভূষণ ভাটকে পরাজিত করেছেন। এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল AIMIM।
গুজরাটের নতুন বিধানসভায় কংগ্রেসের ইমরান খেদাওয়ালা-ই একমাত্র মুসলিম বিধায়ক। ১৮২ জন বিধায়কের মধ্যে তিনি একমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। সদ্যোসমাপ্ত ভোটে ভারতীয় জনতা পার্টি ব্যাপকহারে জয় লাভ করেছে। বিদায়ী বিধানসভায় মাত্র তিন জন মুসলিম বিধায়ক ছিলেন- যাঁরা প্রত্যেকেই কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। ইমরান খেদাওয়ালা ১৩ হাজার ৬৫৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
ইমরান খেদাওয়ালা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা জামালপুর খাদিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভূষণ ভাটকে পরাজিত করেছেন। এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল AIMIM। দলেরই রাজ্যসভাপতি ও প্রাক্তন বিধায়ক সাবির কাবলিওয়া ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন। এই কেন্দ্র আম আদমি পার্টির পীরজাদা ৫৩ হাজার ভোট পেয়েও হেরে গিয়েছেন।
এই নির্বাচনে কংগ্রেস তিন বিধায়ক-সহ ৬ জনকে মুসলিমকে প্রার্থী করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে পাঁচজনই হেরে গেছেন। একমাত্র ইমরানই মান রক্ষা করেছেন। ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাঁচজন প্রার্থীদের মধ্যে তিন জন জয়ী হয়েছিলেন। এবার মাত্র একজনই বিধানসভায় যাচ্ছেন। গুজরাটে জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংসই মুসলিম সম্প্রদায়।
অন্যদিকে কচ্ছ জেলার আবসাদা আসনে কংগ্রেসের মুসলিম প্রার্থী জাট মামদ জং প্রায় ৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা প্রদ্যুমনসিংহ জাদেজার কাছে হেরে গেছেন। জামালপুর-খাদিয়া, দারিয়াপুর এবং জাম্বুসার - এএপি তিনটি বিধানসভা আসনে মুসলিম প্রার্থীদের প্রার্থী করেছিল - কিন্তু তাদের কেউ জয়ী হয়নি। বিজেপি একজন মুসলিম প্রার্থীকে প্রার্থী করেনি। তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১২ জনকে প্রার্থী করেছিল AIMIM। কিন্তু তাদের সকলেই পরাজিত হয়েছে। AIMIMএর অনেক প্রার্থী গুজরাট ভোটে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। আদতে লড়াই হয়েছে কংগ্রেস আর বিজেপির মধ্যে।
সদ্যোসমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ১৫৬টি আসন। গুজরাটের ইতিহাসে যা রেকর্ড। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৭টি আসন, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছে আম আদমি পার্টি। তবে এই নির্বাচনে কংগ্রেসের অধিকাংশ দলবদলুই বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছে।