মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন বলেন, বিজোপি ৩০৩টি আসন পেয়েছিল গত লোকসভা নির্বাচনে। কিন্তু সেখানে বিজেপির একক কৃতিত্ব ছিল না।
কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য আগ্রহী নয়। বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি তিনি বিরোধীদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, বিজেপি বর্তমানে পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বর্তমানে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেতে। তিনি বিরোধী পক্ষে ২৬টি দল রয়েছে। তারা দেশের ১১টি রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে।
মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন বলেন, বিজোপি ৩০৩টি আসন পেয়েছিল গত লোকসভা নির্বাচনে। কিন্তু সেখানে বিজেপির একক কৃতিত্ব ছিল না। জোটবেঁধেই এই বিপুল সংখ্যক আসন পেয়েছিল। কিন্তু ভোটের পরবর্তীসময় বিজেপি বন্ধুদের ভুলে দিয়েছে। তাদের তেমন গুরুত্ব দেয়নি। মিত্রদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু পরে সেই মিত্রদেরই দূরে ঠেলে দিয়েছিল।
সূত্রের খবর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তাদের জোটের নতুন নামকরণ করতে পারে। সূত্রের খবর জোটের নাম হতে পারে 'ভারত' বা 'ইন্ডিয়া'। ট্যাগ লাইন হবে "United we stand"। সনিয়া গান্ধী এতদিন ধরে ইউপিএ-র চেয়ারপার্সেন ছিলেন। তবে এবার ফ্রন্টের সভাপতি তথা আহ্বায়ক করা হতে পারে নীতিক কুমারকে। তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সবথেকে বেশি উদ্যোগী ছিলেন।
বিরোধী জোটের সদস্যগুলির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই নূন্যতন কমন মিনিমান প্রোগ্রাম চাওয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে মাথায় রেখেই কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলেও বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। অন্যদিকে ঘৃণা বিভাজন, আর্থিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই হবে গুরুত্বপূর্ণ। স্বৈরাচার ও গণবিরোধী রাজনীতির মুক্ত হবে নতুন ভারত। এই আদর্শ নিয়ে বিরোধীরা পথে নামবে বলেও জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
সোমবার মূল বৈঠক হয়েছিল প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সনিয়া গান্ধী একে অপরের পাশেই বসেছিলেন। সূত্রের খবর দুই নেত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে কাজ করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে হাঁটুর অপারেশনের জন্য মমতা বব্দ্যোপাধ্য়ায় সনিয়া গান্ধীর দেওয়া নৌশভোজে উপস্থিত হবেন না বলেও প্রথমে স্থির হয়েছিল। কিন্তু মমতা এদিন সনিয়ার দেওয়া নৈশভোজ এড়িয়ে যাননি। তিনি ভোজসভায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কিছুই খাননি। মমতা নৈশভোজের সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও সেখানে থেকে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ও ডরেক ওব্রায়ন।