দেশব্যাপী এই কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে কংগ্রেস ৩১ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করেছে। প্রথম দফায় কংগ্রেস গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করবে।
পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনে ধরাসায়ী হওয়ার পর আবার নতুন করে পথে নামতে চলছে কংগ্রেস (Congress)। জ্বালানি তেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি (fuel price hike) ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির (Rising prices of essential commodities)প্রতিবাদে তিন দফায় আন্দোলন শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস। আগামী ৩১ মার্চ থেকে শুরু করে 'কংগ্রেসের মেহঙ্গাই মুক্ত ভারত অভিযান'। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায় বিজেপির (BJP) কংগ্রেস মুক্ত ভারত ডাকের প্রতিবাদেই এই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। আন্দোলনের প্রথম দিনের ইস্যু অবশ্যই রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ।
দেশব্যাপী এই কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে কংগ্রেস ৩১ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করেছে। প্রথম দফায় কংগ্রেস গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করবে। ৩১ মার্চের অন্দোলনে গ্যাস সিলিন্ডার শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। দেশের সাধারণ মানুষের রান্না ঘরে আঘাত করা হয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এই মাসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকার এলপিজি অর্থাৎ ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ৫০ টাকা করে বাড়িয়েছিল। ওই দিন কংগ্রেসের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের বাড়ি বাড়ি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। পাশাপাশি ঘণ্টা আর ড্রামও বাজাবে।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা জানিয়েছেন, দলের কর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরবে। বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভাবছে না। তাই ঘণ্টা বা ড্রাম বাজিয়েই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাবে কংগ্রেস কর্মীরা।
অন্যদিকে কংগ্রেসের এক কর্মী জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীক ছেকে অনুপ্রেরনা পেয়েই ড্রাম বা ঘণ্টা বাজিয়ে আন্দোলনের পথে হাঁটছে কংগ্রেস। কারণ লকডাউনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের জন্য সম্মান জানাতে থাকা বা ঘণ্টা বাজানোর কথা বলেছিলেন। সেইসময় গৃহবন্দি থাকা মানুষ নিজের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থালা বাজিয়েই স্বাগত জানিয়েছিল করোনা যোদ্ধাদের।
শনিবার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৮০ পয়সা বেড়েছে। রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে তেল সংস্থাগুলি অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই কারণে গত পাঁচ দিনের মধ্যে এই নিয়ে চারবার দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উষ্মা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের নেতাদের কথায় এতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী ২ এপ্রিল কংগ্রেস কর্মীরা সারা দেশের ব্লক স্তরে অবস্থান বিক্ষোভ ও মিছিল করবে। তৃতীয় পর্যায়ে ৭ এপ্রিল দলের সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন এনজিও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে 'মেহনগাই মুক্ত ভারত বিক্ষোভ' কর্মসূচি গ্রহণ করবে। তাতে প্রতি রাজ্যেই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হবে।
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রের অনুমতি, এপ্রিল থেকে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়িয়ে দাম বাড়ছে এগুলির
বাঁশ দিয়েই ফিরবে ভাগ্য, ভালোবাসা, বিয়ে থেকে সুখ আর সমৃদ্ধি সবকিছুই নির্ভর করছে এর ওপর
তাজপুর সমুদ্র বন্দরের প্রতিপক্ষকে জোর টক্কর, চড়া দাম হাঁকাল আদানি গ্রুপ