ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান ট্রাস্টি জুফর ফারুকি বলেছেন, মসজিদের চূড়ান্ত নকশা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ তৈরি হয়ে যাবে বলেও আশা করা করা হচ্ছে।
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই পাঠান হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। আগামী ২২ জানুয়া রামলাল মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যা রাম মন্দিরে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অযোধ্য়ায় প্রস্তাবিত মসজিদের নির্মাণ কাড শুরু হবে মে মাসে। তেমনই আশা করছেন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। ইন্দো-ইসলামিক কালচার ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, অযোধ্যার ধন্নিপুরে মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে। তহবিল সংগ্রহের জন্য ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া বিভিন্ন রাজ্য ইনটার্জ নিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি।
প্রায় একশো বছরেরও বেশি সময়ের ধরে বাবরি মসজিদ নিয়ে হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে বিবাদ ছিল। দায়ের হয়েছিল মামলাও। শেষপর্যন্ত ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দীর্ঘ দিন ধরে চলা মামলার সমাধান করে। অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গাটি রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য বিকল্প প্লট খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে। অযোধ্যা হিন্দুদের পবিত্র শহর।
ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান ট্রাস্টি জুফর ফারুকি বলেছেন, মসজিদের চূড়ান্ত নকশা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ তৈরি হয়ে যাবে বলেও আশা করা করা হচ্ছে। তারপরে নেই নির্মাণ প্ল্যান প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পাঠান হবে। ফেব্রুয়ারিতে কমপ্লেক্সে সাইটে অফিস স্থাপন করা হবে। উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ফারুকি বলেছেন, আগামী বছর মে মাসে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে- এমনটাই আশা করা হচ্ছে। ফারুকি আরও বলেছেন, মসজিদের নকশায় আমূল পরিবর্তন ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরুতে দেরী হচ্ছে। এই মসজিদের নাম হতে পারে মহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ অযোধ্যা মসজিদ।
মসজিদটির প্রাথমিক নকশা ভারতে নির্মিত মসজিদের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছি। তবে পরবর্তীকালে সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। পরিবর্তে নতুন নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, মসজিদটি আগের ১৫ হাজার বর্গফুটের পরিবর্তে ৪০ হাজার বর্গফুটের ওপর নির্মিত হবে।
IICF এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে গৃহীত মসজিদের মত একটি গ্র্যান্ড নকশার স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর্থিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য একটি ক্রাউডফান্ডিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফারুকি বলেন, ট্রাস্ট ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেছেন, ক্রাউডফান্ডিং একটি কঠিন কাজ। এটি পরিচালনা করাও খুব কঠিন। তিনি আরও বলেন, মূল কথাই মসজিদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। আর এই দায়িত্ব সকলে মিলে নেবে। তিনি আরও বলেন আর্থিক বিষয়ে তাঁরা স্বচ্ছতা রাখতে চান। তিনি আরও বলেন, ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত একটি দল মুম্বইতে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে প্রাপ্ত অর্থের ওপর। যেভাবে তহবিল পাওয়া যাবে সেভাবেই কাজ এগিয়ে যাবে।
কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, মসজিদের সঙ্গে থাকবে কমিউনিটি কিচেন, গবেষণাকেন্দ্র, হাসপাতাল, লাইব্রেরি ও একটি মিউজিয়াম। থাকবে অফিস ঘর আর থাকার ব্যবস্থা থাকতে পারে।