এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। শিবমোগা ডিসি বলেন যে অধ্যক্ষ শুধু হুমকি দিয়েছিলেন এবং আসলে তাদের বরখাস্ত করেননি।
মিটেও মিটছে না কর্ণাটকের (Karnataka) হিজাব ইস্যু। ফের তৈরি হল নতুন বিতর্ক। শিবমোগা জেলায় (Shivamogga district) হিজাব বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কর্ণাটকের একটি কলেজের (Karnataka college) ৫৮ জন শিক্ষার্থীকে (58 students) সাসপেন্ড করা হয় (Controversy over suspension)। এই খবর অনলাইনে প্রকাশ হওয়ার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ (college principal) মৌখিকভাবে শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। তবে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। শিবমোগা ডিসি বলেন যে অধ্যক্ষ শুধু হুমকি দিয়েছিলেন এবং আসলে তাদের বরখাস্ত করেননি।
যে ঘটনাটি ঘটেছে তা হল শিবমোগা জেলার শিরালকোপ্পা তালুকের একটি কলেজের ৫৮ জন ছাত্রী হিজাব পরার অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদ করে। এরপরেই এই ছাত্রীদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। ভিডিওগুলি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। ভিডিওগুলিতে অধ্যক্ষকে ছাত্রীদের বলতে শোনা গিয়েছিল যে তারা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বলে তাদের কলেজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায় অধ্যক্ষ বলছেন "ডেপুটি এসপি, ডিডিপিআই এবং এসডিএমসি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তবুও আপনারা তাদের কথা শোনেননি। আপনারা নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তাই আমরা আপনাদের আপাতত কলেজ থেকে সাসপেন্ড করছি। এর পর থেকে আপনি কলেজ চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না। আপনাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে”। তবে যুব ক্ষমতায়ন ও ক্রীড়া মন্ত্রী নারায়ণ গৌড়া স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে ছাত্রীদের সাসপেন্ড করা হয়নি।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইও ছাত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে বলেছেন। ইতিমধ্যে, কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি জে এম খাজি এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এম দীক্ষিতের আদালতে, সরকার পক্ষের শীর্ষ আইনজীবী বলেন, রাজ্যের অনেক স্কুল ও কলেজে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কিন্তু, গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে রাজ্য সরকার যে আদেশ দিয়েছিল, তাতে বেআইনি কিছু ছিল না।
ঝড় ইউনিকের দাপটে উড়ে গেল মানুষ-বাধা পেল বিমান, প্রবল জলোচ্ছ্বাস ব্রিটেনে
কাশ্মীরে চলতি বছর ১৫তম এনকাউন্টারে হত ১, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী
কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, রাজ্য সরকারের আদেশে বলা হয়েছিল, 'সাম্য, অখণ্ডতা এবং জনশৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করে' এমন পোশাক নিষিদ্ধ। সরকারি আদেশে হিজাবের কোন কথা বলা ছিল না। তাই সরকারী আদেশটি প্রকৃতিতে নির্দোষ, এটি আবেদনকারীদের ধর্মীয় অধিকারকে খর্ব করে না।
তিনি আরও বলেন, ক্লাসরুমে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া না দেওয়াটা পুরোপুরি কলেজের উপরে নির্ভরশীল। তারাই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কারণ, সরকারের সচেতনভাবেই ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। আদেশে বলাই যেত, হিজাব ধর্মনিরপেক্ষতা ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী, কিন্তু সেটা ঠিক হত না।