Odisha Train Accident: চাপ চাপ রক্ত আর লাশের স্তূপ! ছাত্র-শিক্ষকদের ভয়ে ভেঙে ফেলা হল ওড়িশার বাহানাগা স্কুল

এই স্কুল ভবনটির বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৫ বছর। দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ রাখার পর ওই ভবনে আর ফিরে যেতে চাইলেন না ছাত্র শিক্ষকরা।

Web Desk - ANB | Published : Jun 10, 2023 2:43 AM IST / Updated: Jun 10 2023, 08:53 AM IST

২ জুন ওড়িশায় করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার পর বালেশ্বরের বাহানগা স্কুলে তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী মর্গ। কারণ এলাকাটি ছিল শহর থেকে অনেকটা দূরে। তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষের জেরে গোটা এলাকা লাশের স্তূপে হয়ে উঠেছিল একেবারে মৃত্যুপুরী। দ্রুত শহরের কোনও মর্গে মৃতদেহগুলি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা না করে বাহানগা স্কুলের মধ্যেই অস্থায়ী মর্গ তৈরি করে সেখানেই জড়ো করা হয়েছিল দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহ। কিন্তু তারপর সেই বাহানগা স্কুল নিয়ে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। কারণ পড়ুয়া থেকে শিক্ষক কেউ আর সেই স্কুলে ফিরে যেতে রাজি হননি। এরপর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ভেঙে ফেলা হল সেই স্কুলের ভবন।

স্থানীয় মানুষদের মতে, এই স্কুল ভবনটির বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৫ বছর। এলাকার প্রায় ৫৬৭ জন ছাত্রছাত্রী এখানে পড়তে আসে। স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য রাজারাম মহাপাত্র জানিয়েছেন, “বহু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক স্কুলটিকে মর্গে পরিণত করার কারণে ভয় পেয়েছিলেন। যদিও যে কক্ষগুলিতে মৃতদেহগুলি রাখা হয়েছিল সেগুলি স্যানিটাইজ করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও, পড়ুয়ারা এখনও পর্যন্ত আশ্বস্ত হতে পারেনি।” শুক্রবার ওড়িশার পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট এই স্কুলের ভবন ভাঙার কাজ শুরু করে। দুটি শ্রেণিকক্ষের অ্যাসবেস্টস চাল বের করে দেওয়া হয়।

যে কক্ষগুলো ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে সেগুলোতে মূলত প্রাথমিক শ্রেণির কক্ষ রয়েছে। একজন অভিভাবক এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য দীপাঞ্জলি সাহু বলেছেন, গত সপ্তাহে তাদের শ্রেণীকক্ষে মৃতদেহগুলো রাখার পর শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে প্রাথমিক শ্রেণির পড়ুয়ারা ভয় পেয়েছিল। তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তাদের পড়াশোনায় মন দেওয়া কঠিন ছিল। তাই আমরা কক্ষগুলি পুনর্গঠন করার জন্য কালেক্টরকে অনুরোধ করেছি।”

আরও পড়ুন-

Weather News: উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ, শনিবার কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?
Gold Silver Price: শনিবার ফের বেড়ে গেল সোনা-রুপোর দর, জেনে নিন লেটেস্ট আপডেট
বিশ্বস্ত সঙ্গীর দ্বারাই ভয়ঙ্করভাবে খুন হচ্ছেন মহিলারা, এর কারণ হিসেবে কী বলছেন মনোবিদরা?

Share this article
click me!