যে উৎসবের মরশুম নিয়ে ভয় ছিল বিশেষজ্ঞদের, সেই উৎসবের মরশুমেই করোনাভাইরাসের গ্রাফে এল চরম স্বস্তি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দওয়া তথ্যে দেখা গেছে জুলাই মাসের পর এই প্রথম সবথেকে কম দৈনিক সংক্রমণ নথিভুক্ত হয়েছে। মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৬৯ জন। দেশে এপর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৪৬,৪২৯। গত ১৮ জুলাই সর্বশেষ সময়, যেদিন দেশে দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যন ছিল ৩৪ হাজার ৮৮৪। সেই সময় দেশে সংক্রমণের দৈনিক গড় ছিল ৩৬ হাজারের কম।
কিন্তু অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চূড়া দেখেছিল ভারত। গত দুই মাস দৈনিক আক্রান্তের গড় ৯৫ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দেশে দৈনিক আক্রান্তের ধীরে ধীরে নিচের দিকে নেমে যায়। এবার এক ঝলকে দেখে নিন দেশের করোনাভআইরাস চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে আক্রান্তের হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৮৮ জনের। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই কম বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে সুস্থতার হারও আশা জাগাচ্ছে দেশের মানুষদের মধ্যে। দেশে সুস্থতার হার ৯০.৬২ শতাংশ। অ্যাক্টিভকেসের হারও নিম্নগামী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে দেশে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই মাস্কের ব্যবহারের পাশাপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন দেশের মানুষের কাছে।
দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির তালিকায় এখনও পর্যন্ত কোনও পরিবর্তন হয়নি। দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। পরের তিনটি রাজ্যেই দক্ষিণভারতের, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক আর তামিলনাড়ু। দৈনিক আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কেরল। আর দ্বিতীয় স্থানীয়েই পশ্চিমবঙ্গ। দুটি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৮৭ ও ৪১২১।