লক্ষ্ণৌনের ইস্টার্ন বুক কোম্পানির কথা অনুযায়ী রাহুল গান্ধী ভোট প্রচারের সময় কয়েকটি অনুষ্ঠানে বইটি তুলে ধরেছিলেন। তারপরই থেকেই এই ছোট্ট সংবিধানের চাহিদা বেড়েছে।
ভোটের সময় হঠাৎ করেই দেদার চাহিদে বেড়ে গিয়েছিল ভারতীয় সংবিধানের। নানা সেই মোটা ঢাউস সংবিধান নয়। ভারতীয় সংবিধানের পকেট অ্যাসিডশনের। মাত্র ২০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য, ৯ সেন্টিমিটার প্রস্থের ছোট্ট বইটি লাল রঙের জ্যাকেট দেওয়া রয়েছে। বইটিতে ৬২৮ পাতা রয়েছে। যা একাধিক সময় সাংবাদিক সম্মেলেন আর ভোট প্রচারে দেখা গিয়েছিল রাহুল গান্ধীর হাতে। প্রকাশকদের দাবি গোটা বছরে মাত্র দুই মাসই দেদার ব্যবসা হয়েছে ভারতীয় সংবিধানের পকেট সংস্করণের। প্রথমবার এই বই মুদ্রিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। তারপর থেকে এই প্রথম এতবেশি পরিমাণে বিক্রি হয়েছে এই বই।
লক্ষ্ণৌনের ইস্টার্ন বুক কোম্পানির কথা অনুযায়ী রাহুল গান্ধী ভোট প্রচারের সময় কয়েকটি অনুষ্ঠানে বইটি তুলে ধরেছিলেন। তারপরই থেকেই এই ছোট্ট সংবিধানের চাহিদা বেড়েছে। সংস্থার মালিক সুমিত মালিক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, কোর্ট পকেট সংস্করণ প্রথম ছাপান হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেড গোপাল শঙ্করাণায়াণের উদ্যোগে। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, এমন একটি সংস্কারণ প্রকাশ করা উচিৎ যা আইনজীবীদের আদালদের কোর্টের পকেটে সহজেই ফিট হয়ে যায়।
বৈশাখীকে বিয়ে করছেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়? মেহুলকে নিজের নাম দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন তিনি
সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, প্রথম সংস্করণটি ২০০৯ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ১৬টি সংস্কারণ প্রকাশিত হয়েছে। সংস্থা আরও জানিয়েছে, এতদিন ধরে এই পকেট সংস্করণের মূল ক্রেতাই ছিলেন আইনজীবীরা। নরেন্দ্র মোদীকেও তাঁরা এই পকেট সংস্করণ দিয়েছিলেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকেও তাঁরা উপহার হিসেবে দিয়েছেন। সংস্থার মালিক জানিয়েছেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপহার হিসেবে অনেক সময়ই ভারতীয় সংবিধানের পকেট সংস্করণ পছন্দ করেন।
যদি ডেপুটি স্পিকার না হয়! স্পিকার পদ নিয়ে মোদী সরকারকে চাপে ফেলতে তৈরি বিরোধীরা
তবে রাহুল গান্ধীর উদ্যোগেই ভারতীয় সংবিধানের পকেট সংস্করণের বিক্রি বেড়েছে বলে মনে করেন সুমিত মালিক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে বর্তমানে ভারতীয় সংবিধানের পকেট সংস্করণের জন্য আগ্রহ বেড়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধী ভোট প্রচার ও সাংবাদিক সম্মেলনে এই বই ব্যবহার করেছিলেন। তারপরই এই বইয়ের চাহিদা বেড়েছে।
সুমিত মালিক আরও জানিয়েছে, প্রথম সংস্করণে তাঁরা ৭০০-৮০০ কপি বিক্রি করেছিলেন। প্রতি সংস্করণের বিক্রি ৫ থেকে ৬ হাজার কপি হয়। তবে এবছর বিক্রির হার সবকিছুকে ছাপিয়ে যাবে। শেষ সংস্করণ এখনও পর্যন্ত পাঁচ থেকে ৬ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। আগামী দিনে বইয়ের চাহিদা আরও বাড়বে বলেও আশাবাদী তিনি।