কোভ্যাক্সিন নিয়ে সতর্কতা জারি করল ভারত বায়োটেক। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে,যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা যা প্রচুর পরিমাণে ওষুধ খান তাঁরা যেন কোভ্যাক্সিনের টিকা গ্রহণ না করেন। ভ্যাকসিন নিয়ে বিস্তারিত একটি তথ্যপত্র বা ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সেখানে বলা হয়েছ যাঁদের শরীরে রক্তপাতজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁরা যেন কোভ্যাক্সিন এড়িয়ে যান। অত্যান্ত অসুস্থ ও অ্যালার্জি রয়েছে এমন মানুষ ও অন্ত্বঃস্বত্তা মহিলাদেরও কোভ্যাকসিন না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসদের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ফ্যাক্ট শিটে।
ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শরীরে বড়সড় প্রভাব পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। টিকা গ্রহণের পর অ্যালার্জি নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শ্বাস নিতে অসুবিধে হতে পারে। মুখ ও গলা ফুলে যেতে পারে। হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। মাথা ঘোরা আর দুর্বলতার মতও সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁরা টিকা গ্রহণ করবেন তাঁদের যদি এজাতীয় সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাঁদের তা প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ভারত বায়োটেকের ফ্যাক্ট শিটঃ
ফ্যাক্ট শিটে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যে জায়গায় ইনজেশকন দেওয়া হয়েছে সেখানে ব্যাথা, ফোলাভাব, চুলকানির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি মাথা ব্যাথা, জ্বর, দুর্বলতা ও বমিবমি ভাবও অনুভব করতে পারেন টিকা প্রাপকরা। কোভ্য়াক্সিন থেকে মারাত্ম অ্যালার্জি হতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। আর সেই কারণে টিকা গ্রহণের পর ৩০ মিনিট টিকাকেন্দ্রে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা গ্রহণের তিন মাস পর পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ফলোআপ করা হবে। গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে টিকা গ্রহণকারীর তৎক্ষণাত সরকার অনুমোদিত কেন্দ্র বা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে বলেও জানান হয়েছে। একই সঙ্গে টিকা গ্রহণের সময়ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোনও ওষুধ নিয়মিত খেলে তার তথ্যও জানাতে হবে।
ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবনা কান্থ, সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজে তিনি হবেন প্রথম মহিলা পাইলট ...
করোনাভাইরাসের টিকা দানের তিন দিন পর এখনও পর্যন্ত দেশের ৩.৮ লক্ষ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে। এখনও পর্যন্ত ৫৮০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। টিকা গ্রহণের পর দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছেন মৃত্যুর সঙ্গে টিকা গ্রহণের কোনও রকম সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল, যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁরাও টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু তাঁদের শরীরে টিকার প্রভাব কম পড়বে। ক্যান্সারে আক্রান্ত ও কেমো থেরাপিতে রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কম প্রভাব পড়বে। কিন্তু কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই আগে থেকেই তাদের তৈরি কোভ্যাক্সিন নিয়ে সতর্ক করে রাখল ভারত বায়োটেক।