ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শীর্ষে পৌছতে পারে বলে আইআইটি কানপুরের একটি মডেলিং সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সমীক্ষায় গবেষকরা আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি , রাশিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহার করেছেন।
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ (Covid Third wave ) শীর্ষে পৌছতে পারে বলে আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur study) একটি মডেলিং সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি কানপুর আইআইটির ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ঠিক কত জন সংক্রমিত হতে পারেন, এর সঠিক সংখ্যা অনুমান করা সম্ভব নয়। কারণ এই মডেল সমীক্ষায় জনসংখ্যার কোভিড ভ্যাকসিনেশনের তথ্য বিবেচনা করা হয়নি। উল্লেখ্য, সমীক্ষায় গবেষকরা আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি , রাশিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহার করেছেন। কারণ এই দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে।
কানপুর আইআইটির একটি মডেল সমীক্ষায় ধরে নেওয়া হয়েছে, করোনার ওমিক্রণ দাপটের জেরে সারা বিশ্ব জুড়ে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা বৃদ্ধির তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে ভারতেও। গত একুশে ডিসেম্বর প্রকাশিত এই সমীক্ষার রিপোর্টের ক্ষেত্রে তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্ব অনুমানের বিষয়ে গউসিয়ান মিক্সচার মডেল নামে পরিসংখ্যানগত টুল ব্যবহার কার হয়েছে। তবে এই মডেল সমীক্ষার এখনও পিয়ার রিভিউ এখনও হয়নি। উল্লেখ্য, সমীক্ষায় গবেষকরা আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি , রাশিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহার করেছেন। কারণ এই দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। ভারতীয় গবেষকরা কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব এবং সময়সীমার পূর্বাভাস দিতে গিয়ে দেশগুলির দৈনিক তথ্য মডেল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেইসঙ্গে সমীক্ষায় সময়ের ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে ভারতের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউযএর তথ্য়ও ব্যবহার করা হয়েছে।শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের গত কয়েকদিনে পাওয়া ৭ হাজার কোভিড কেসে এখনও কোনও নতুন তরঙ্গের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
কানপুর আইআইটির ওই মডেলেপ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শীর্ষে পৌছতে পারে। সমীক্ষা পত্রে বলা হয়েছে যে, ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। এরপর তৃতীয় ঢেউ শীর্ষে পৌছবে ৩ ফেব্রুয়ারি। গবেষকরা এই সমীক্ষায় উল্লেখ করেছেন যে, দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে, এবং বিশ্বে যে প্রবণতা শুরু হয়েছে, তা এখানেও চলবে। এর পাশাপাশি গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে কত জন আক্রান্ত হতে পারে, তার সঠিক সংখ্যা অনুমান করা সম্ভব নয়। কারণ এই মডেল সমীক্ষায় জনসংখ্যার করোনা টিকাকরণের তথ্য বিবেচনা করা হয়নি। উল্লেখ্য, সমীক্ষক দলে ছিলেন সবারা প্রসাদ রাজেশভাই, শুভ্রশঙ্কর ধর এবং শালাভ। এর প্রত্যেকেই কানপুর আইআইটির গণিতের পরিসংখ্যান বিভাগে রয়েছেন। গবেষকরা বলেছেন, টিকাকরণ অভিযান, কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ভাল পদক্ষেপ। তবে ১০০ শতাংশ কার্যকারিতায় পৌছানোর ক্ষেত্রে তা অবশ্যই সময় সাপেক্ষ।