কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেক ও কোভিশিল্ড নির্মাতা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের যাবতীয় তথ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে দিয়েছিল। ১৯ জানুয়ারি সেই তথ্য নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করে কোভিড বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারপরই তা বাজারে বিক্রি করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনালের (DCGI) কিছু শর্ত সাপেক্ষে কোভিড-১৯এর টিকা (COVID-19 Vaccine) কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ও কোভিশিল্ডকে (Covishield) সম্পূর্ণ বাজারে বিক্রি করা অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার তেমনই জানিয়েছেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandavya)। তিনি বলেছেন ডিসিজিআই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের অনুমতিকে আপগ্রেড করেছে। জরুরী পিরস্থিতিতে সীমিত ব্যবহার থেকে কিছু শর্তসহ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ চাইলে এটি কিনতে পারেব। তবে সূত্রের খবর এখনই এই টিকাগুলি দোকানে পাওয়া যাবে এমনটা নয়। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের মানুষ হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে গুলিলি কিনতে পারবে। তবে কত টাকায় সেগুলি পাওয়া যাবে তার মূল্য এখনও নির্ধারণ হয়নি বলেও সূত্রের খবর।
জরুরি ব্যবহারের জন্য, নিরাপত্তা ডেটা ১৫ দিনের মধ্যে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই-কে জিতে হবে। কিন্তু বাজার অনুমোদনের জন্য যাবতীয় তথ্য ৬ মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নতুন ও ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিধিমালা, ২০১৯ এর অধীনে দুটি টিকাই বাজারে বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেক ও কোভিশিল্ড নির্মাতা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের যাবতীয় তথ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে দিয়েছিল। ১৯ জানুয়ারি সেই তথ্য নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করে কোভিড বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারপরই তা বাজারে বিক্রি করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, যারা বাজার থেকে টিকা কিনবেন তাদের কোইউন প্ল্যাটফর্মে নাম নথিভুক্ত কারার পাশাপাশি আগামী ৬ মাস নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত ডেটা জমা দিতে হবে। বর্তমানে দুটি টিকাই জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। ন্যাশানাল কোভিড ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের অধীনে এই টিকাকর্মসূচি চলছে। সূত্রের খবর সেমরা ও ভারত বায়োটেক- দুটি সংস্থাই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ বাজার অনুমোদনের জন্য পৃথকভাবে আবেদন করেছিল। তারা বলা হয়েছিল এখনও পর্যন্ত দেশের টিকাকর্মসূচিতে বড় ভূমিকা নিয়েছে এগুলি। প্রায় েক বিলিয়ন ভ্যাক্সিন ডোজ দেওয়া হয়েছে। টিকা প্রাপ্ত অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই কোনও সাইডএফেক্ট দেখা যায়নি। তারা নিরাপদে রয়েছে। এই যুক্তি দেখিয়ে দুটি টিকা বাজারে বিক্রি করার অনুমোদন চেয়েছিল সংস্থাগুলি।
অন্যদিকে এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সরকার মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য ব্যাপক হারে টিকা দিচ্ছে। সেই কারণেই আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম। ওমিক্রন আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষই হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণযুক্ত। এরা মূলত হোম-আইসোলেশনে রয়েছে। অক্সিজেন ও আইসিইউ শয্যার চাহিদাও করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় অনেকটা কম। কিন্তু এখনও রাশ আলগা করতে চলবে না। যেকোনও সময়ই করোনাভাইরাস চরিত্র বদল করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের প্রধান ডক্টর বলরাম ভার্গব বলেছেন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে দেশে। ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কোমোর্বিডিটিসের আক্রান্তদের সাবধানে থাকা ও ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
COVID-19 Alert: ভারতে সক্রিয় ওমিক্রনের উপবংশ, সংক্রমণ রুখতে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ
OLA: বড় ঘোষণা ওলার, উন্নত প্রযুক্তির গাড়ির ডিজাইন করবে ব্রিটেনের ফিউচারফাউন্ড্রি
Punjab Election 2022: রাহুল গান্ধী 'অযোগ্য', এই কারণ দেখিয়ে সভা বয়কটের পথে ৫ সাংসদ