Defence News: প্রতিরক্ষায় শক্তিশালী-আত্মনির্ভর ভারত, দেখুন দেশের সেনা বাহিনীর হাতে কী কী মিসাইল রয়েছে
ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফল বর্তমানে ভারতের হাতে ব্যালিস্টিক , ক্রুজ, অ্যান্টি শিপ, এয়ার ডিফেন্স, এয়ার টু এয়ার ও অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম রয়েছে।
আন্তঃদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলে ভারত বিশ্বের প্রথম সাতটি দেশের মধ্যে একটি। অ্যান্টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় বিশ্বের চারটি দেশের মধ্যে একটি হল ভারত। ২০১৬ সাল থেকেই ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম এর সদস্য।
স্বাধীনতার আগে থেকেই রকেটের ব্যবহার
মাইসোরিয়ান রকেট ছিল প্রথম লোহার রকেট যা সফলভাবে সামরিক ব্যবহারের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। মহীশূর রাজ্য ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে সংঘাতে তাদের কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছিল। এছাড়াও, প্রায় একই সাথে পাঁচ থেকে দশটি রকেট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম চাকাযুক্ত রকেট লঞ্চার যুদ্ধে ব্যবহৃত হত।
স্বাধীনতার পরে
গাইডেড মিসাইল সিস্টেম নিয়ে চর্চার জন্য ভারত সরকার ১৯৫৮ সালে একটি বিশেষ অস্ত্র উন্নয়ন দল গঠন করে। পরবর্তীকালে তারই নাম হয় ডিআরডিও। অর্থাৎ ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে। আত্ননির্ভর ভারতে এই সংস্থাই একের পর এক মিসাইল আর টর্পেডোর উন্নয়ন করেছে। প্রথম দিকে এই কাজে তৎকালীন সোভিয়েট রাশিয়া সহযোগিতা করত। বর্তমানে রুশ সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
অস্ত্র বিক্রি
বর্তমান ভারত শুধুমাত্র বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি থেকে অস্ত্র কিমনছে এমনটা নয়, বর্তমান ভারত বেশ কিছু দেশকে অস্ত্র বিক্রিও করছে। যারমধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ। অস্ত্রের প্রযুক্তিও আদানপ্রদান করছে।
অস্ত্র
ভারতের উল্লেখযোগ্য এয়ার টু এয়ার মিসাইল হল অস্ত্র। এটি তিনটি সংস্কার রয়েছে। অস্ত্র-৩এর৩৫০ কিলোমিটার দূরে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। ২০১৮ সালে তৈরি ।
রুদ্রম ১
২০২২ সাল থেকেউ ভারতের শক্তি বাড়িয়েছে রুদ্রম। এটি অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইল। আড়াইশো কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। অ্যান্টি স্যালেটাইল মাইসাইলও রয়েছে ভারতের হাতে। নাম পৃথ্বী ডিফেন্স ভেইক্যাল।
ব্যালিস্টিক মিলাইস
পৃথ্বী , অগ্নি , সূর্য, কে মিসাইল, প্রহার, প্রলয় এগুলি সবই ব্যালিস্টিক মিসাইলের মধ্যে পড়ে। তবে সবথেকে শক্তিশালী ও আধুনিক হল অগ্নি। ডিআরডিও এই মিসাইলটিকে ধীরে ধীরে শক্তিশালী আর নিখুঁত করছে।
অ্যান্টি শিপ মিসাইল
এটি যুদ্ধ জাহাজ থেকে যুদ্ধ জাহাজে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নাসমসার, নাবাল অ্যান্টি শিপ মিসাইল। ব্রহ্মোস। সবথেকে শক্তিশালী হচ্ছে ব্রহ্মোস। অ্যান্টি সাবমেরিল মিসালি হল তৈরি হচ্ছে যার নাম স্মার্ট । তবে সম্প্রতি একটি শক্তিশালী হেভিওয়েট টর্পেডো পরীক্ষায় সফল হয়েছে ভারত। যা শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ধ্বংস করে দিতে পারে।
অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল
ডিআরডিও তৈরি করেছে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নাগ মিসাইল। অমোগা মিসাইলও রয়েছে ভারতের হাতে। এগুলি যে কোনও জায়গায় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে পারে। ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারত। পাহাড় থেকে মরুভূমি প্রতিকূল অবস্থায় সেনা বাহিনীকে সাহায্য করবে।
ক্রুজ মিসাইল
এটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ব্রহ্মোস। এটি ৬০০ কিলোমিটার দূরেক কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এটি অব্যর্থ নিশানা। ২০২২ সালেও এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। নির্ভয় নামে আরও একটি ক্রুজ মিসাইল রয়েছে বারতের হাতে।
সারফেস টু এয়ার মিসাইল
এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল আকাশ ও মৈত্রী। ইতিমধ্যে ভারত রাশিয়া থেকে হাতে পেয়েছে এস ৪০০। এটি অত্যান্ত শক্তিশালী। চিন আর পাকিস্তানের মোকাবিলার জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যালিস্টিক ডিফেন্স মিসাইল
এটির ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট মনোযোগী। এই জাতীয় মিসাইল আরও উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সেনা বাহিনীর গবেষণা বিভাগ।