AIIMS Delhi: শীতের ছুটি বাতিল, জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগ এইমস চিকিৎসকদের

সোমবার দিল্লিতে করোনা পজেটিভিটি রেট ৬.৪৬ শতাংশ ছিল। নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪,০৯৯ জন। 

Parna Sengupta | Published : Jan 4, 2022 6:24 AM IST

শীতকালীন ছুটিতে (winter vacation) ছিলেন কিছু চিকিৎসক (faculty members)। দিল্লির করোনা পরিস্থিতি (Corona Situation) বিচার করে সেই ছুটি বাতিল ঘোষণা করল নয়াদিল্লি এইমস (Delhi AIIMS) হাসপাতাল। জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যেককে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য ৫ই জানুয়ারি থেকে ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। 

এদিকে, সোমবার দিল্লিতে করোনা পজেটিভিটি রেট ৬.৪৬ শতাংশ ছিল। নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪,০৯৯ জন। মারা গিয়েছেন একজন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫০৯ জন মানুষ। ১৫-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার প্রথম দিনে, দিল্লি ২০৯৯৮ জন শিশুকে প্রথম শট দিতে পেরেছে। মঙ্গলবার থেকে যখন জেলাগুলির ক্যাম্পগুলিতে টিকা দেওয়া শুরু হবে, তখন সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছে দিল্লি সরকার। কেজরিওয়াল সরকারের তথ্য অনুসারে প্রায় ১.০১ মিলিয়ন শিশুকে করোনা টিকা দেওয়া যাবে। 

এদিকে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সোমবার বলেন যে গত দুদিনে মোট নমুনার ৮১% এরও বেশি ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি সরকারের তথ্য অনুসারে, দুই দিনে ১৮৭টি নমুনার মধ্যে ১৫২টি ওমিক্রন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi Chief Minister Arvind Kejriwal)। তাঁর শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ (Mild Symptoms) রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে টুইট করে একথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। এই মুহূর্তে বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি। 

টুইটাকে কেজরিওয়াল লিখেছেন, "আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছি। যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের কাছে অনুরোধ, আপনারাও করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিন। নিভৃতবাসে থাকুন।"

ইতিমধ্যেই দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। চালু হয়েছে নাইট কার্ফু। বিধিনিষেধ আরোপ করার পরের দিনই আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে যায় অনেকটা। নতুন বছরের এই উৎসবের মরশুমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কেজরিওয়াল প্রশাসনের। নয়াদিল্লির ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি অনুমোদন দিয়েছে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানকে। এর আওতায় নতুন করে জারি হতে পারে একাধিক কোভিড নীতি। করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ২৮শে ডিসেম্বর হলুদ সতর্কতা জারি করা হয় দিল্লি জুড়ে। তবে লাল সতর্কতা জারি করার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

লাল সতর্কতা জারির সিদ্ধান্ত হলেই দিল্লি জুড়ে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের খাঁড়া নেমে আসতে পারে। রেড অ্যালার্ট মানে শহরে 'সম্পূর্ণ কারফিউ' কার্যকর করা। এর ফলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বেশিরভাগ অর্থনৈতিক লেনদেন। সাপ্তাহিক বাজার এবং শপিং মলগুলি বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি পরিষেবার দোকানগুলি খোলা রাখা হবে। 

যদিও দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও কলেজ। সিনেমা হল থেকে থিয়েটার হল সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ জিম ও স্পা। অন্যদিকে দোকান ও শপিংমল জোড় বিজোড় ভিত্তিতে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মেট্রোসহ যেকোনও পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারে বলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। 

বিশেষজ্ঞদের কথায় ওমিক্রনের প্রভাবেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক  জানিয়ে দিয়েছে কোভিড ১৯-এর নতুন রূপ ওমিক্রন ডেল্টার  তুলনায় কমপক্ষে কংপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লিতে এমন ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁরা সম্প্রতি কোথাও ভ্রমণই করেননি। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে ধীরে ধীরে ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে। রাজধানীতে গত একদিনে ১১৫টি নমুনার মধ্যে ৪৬ শতাংশের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

সত্যেন্দ্র জৈন আরও জানিয়েছেন, দিল্লির হাসপাতালগুলিতে (Hospital) এখন মোট ২০০ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে ১০২ জনই দিল্লির বাসিন্দা। ১১৫ জনের শরীরে করোনার কোনওরকম উপসর্গই নেই। তবে সতর্কতার জন্য তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। 

Read more Articles on
Share this article
click me!