চার দিন হয়ে গেল পুলিশি বাধা আর প্রবল ঠান্ড উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। কেউ এসেছে পঞ্জাব থেকে, কেউ আবার হরিয়ানা থেকে। কিন্তু প্রতিবাদীদের অনেকেই বলতে বলতে পারলেন না কেন তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছেন। নো দ্যা নেশন নামের একটি সংস্থার রিপোর্টে উঠে এসেছে বেশকিছু তথ্য, যা স্পষ্ট করে দিয়েছে আন্দালোনকারীদের অনেকেই জানেন না কী কারণে তাঁরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। দয়া শঙ্কার ভয়রদ্বাজের কথায় মোদী সরকারের পাশ করার আইনের প্রতিবাদে জানাতে তাঁরা এসেছেন। কিন্তু তিনি বলতে পারলেন না কোনও কোনও আইনের প্রতিবাদে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ।
শুধু পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরাই নয় এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকরাও। মধ্যপ্রদেশের সুরিয়া দেব ভরদ্বাজও সামিল হয়েছেন এই আন্দোলনে। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন তিনি কৃষক নন। তিনি একটি মিলের শ্রমিক। মিলে কাজ বন্ধ থাকলেও মিল মালিক তাঁকে বেতন দিচ্ছে। তিনি চাইছেন কাজের পরিবর্তে বেতন নিতে।
অল ইন্ডিয়া কিষান সভার সদস্য মেজর সিং পুন্যবাহু জানিয়েছেন কৃষক আন্দোলন অনেক লম্বা চলবে। দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়েই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন বলেও জানিয়েছেন।
মধ্য প্রদেশের বলসাহেব চৌহান জানিয়েছেন তিন বছর ধরে তাঁর কাজ নেই। কৃষকের ছেলে বলেও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। তিনি আরও বলেন কৃষকদের পাশাপাশি নিজের দাবি আদায়েও সরব হওয়ার জন্যই এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তিনি।
পঞ্জাব থেকে এসেছেন বল্লি। ট্রাক্টরেই করেই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেন তিনি। কিন্তু তাঁর কাছেও স্পষ্ট নেয় মোদী সরকার কৃষকদের জন্য কী কী আইন পাশ করেছে। স্থানীয়দের কথা শুনেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পঞ্জাব থেকে দিল্লিতে আত্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তিনি। কিন্তু কী কারণে এই আন্দোলন তা তিনি এখনও জানেননা। তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে তাই তিনি এসেছেন বলেও জানিয়েছেন এক বিক্ষোভকারী।