J&K Delimitation Row: জম্মু পেল ৬, কাশ্মীর মাত্র ১ - বিরাট বিতর্কে কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস


সোমবার, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়ার (Delimitation Draft) তীব্র বিরোধিতা করল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) রাজনৈতিক দলগুলি। কি নিয়ে বিতর্ক, জেনে নিন।

Web Desk - ANB | Published : Dec 20, 2021 2:13 PM IST / Updated: Dec 20 2021, 07:55 PM IST

কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া (Delimitation Draft) নিয়ে, সোমবার বিরাট রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। এই খসড়ায় জম্মুতে নতুন ছয়টি বিধানসভা আসন এবং কাশ্মীরে মাত্র একটি নতুন বিধানসভা আসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলি এর তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে, এইভাবে কেন্দ্র রাজ্যের পূর্ববর্তী ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সোমবার নয়াদিল্লিতে এই বিষয়ে বৈঠকে কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক দলই এই প্রস্তাবকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং অগ্রহণযোগ্য বলেছে।

পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিধানসভায়, জম্মু থেকে আসন ছিল ৩৭ টি আসন, কাশ্মীর থেকে ৪৬ টি এবং লাদাখে ছিল ৪ টি আসন। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন রাজ্য বিধানসভায় কাশ্মীরে আসন থাকবে ৪৭ টি এবং জম্মুর ৪৩ টি। কেন্দ্রীয় সরকারের ডিলিমিটেশন কমিশন অবশ্য দাবি করেছে, ২০১১ সালের আদমশুমারির উপর ভিত্তি করেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা আরও বলেছে, বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের একমাত্র মানদণ্ড ছিল জনসংখ্যা। ২০১১ সালের আদমশুমারি যদিও বলছে, কাশ্মীরের জনসংখ্যা (৬৮.৮ লক্ষ) এবং জম্মুর জনসংখ্যার (৫৩.৫ লক্ষ) থেকে ১৫ লক্ষ বেশি। ফলে, প্রস্তাবিত খসড়া অনুযায়ী জম্মুতে প্রতি আসনে জনসংখ্যা হবে গড়ে ১.২৫ লক্ষ, আর কাশ্মীরের প্রতি আসনের গড় জনসংখ্যা হবে ১.৪৬ লক্ষ। আর এই নিয়েই আপত্তি জানাচ্ছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি। 

আরও পড়ুন - Jammu-Kashmir Power Strike: কামড় দেওয়া শীতে, পুরো অন্ধকারে ঢাকল জম্মু ও কাশ্মীর

আরও পড়ুন - LeT Terrorist Killed: শ্রীনগরে বড় সাফল্য বাহিনীর,নিহত লস্করের পাকিস্তানি জঙ্গি

আরও পড়ুন - Cold Wave in North India: দ্রাসে মাইনাস ১৯ ডিগ্রি, শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তর ভারত, দেখুন

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার শক্তি ছিল ৮৭। এর মধ্যে লাদাখের ৪ টি বিধানসভা আসনও ছিল। ২৪ টি বিধানসভা আসন বরাবর খালি থাকত, কারণ সেগুলি পাকি-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) মধ্যে পড়ে৷ বিশেষ মর্যাদা হারানোর পরে, লোকসভা এবং বিধানসভা আসনের সীমানা ভারতের সংবিধানের অধীনে নতুন করে নির্ধারণ করা হচ্ছে। গত বছরই এর জন্য একটি নতুন ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন অনুসারে, নির্বাচনী এলাকাগুলির সীমানা নতুন করে নির্ধারণের পর, জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন বিধানসভার ৯০ টি আসন থাকবে। অর্থাৎ, আগের বিধানসভার থেকে ৭ টি বেশি। অথচ, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হলে,  জম্মুর পরিবর্তে কাশ্মীরের বেশি আসন পাওয়া উচিত ছিল।

জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ বিধানসভা ও লোকসভা আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছিল, ১৯৯৪-৯৫ সালে। সেই সময় এই রাজ্য রাষ্ট্রপতি শাসনে ছিল। বিধানসভার আসন সংখ্যা ৭৬ থেকে বেড়ে ৮৭ হয়েছিল। জম্মুর আসন সংখ্যা ৩২ থেকে হয়েছিল ৩৭ এবং কাশ্মীরের ৪২ থেকে বেড়ে ৪৬। ২০০২ সালে, ন্যাশনাল কনফারেন্স সরকার একটি আইন করে ২০২৬ সাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির পুনর্বিন্যাস স্থগিত রেখেছিল। কিন্তু, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর, তা মূল্যহীন হয়ে গিয়েছে।

Share this article
click me!