কোভিড ১৯-এর আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফের কোভিড বিধি লাগুর পক্ষেও অনেকে সওয়াল করছেন।
বিমান যাত্রায় মাস্ক না পরলে অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করলে কড়া ব্যবস্থা। এই মর্মে সমস্ত বিমান সংস্থাগুলিকে বার্তা পাঠিয়েছে ডিজিসিএ। যে কোনও মূল্যে বিমানযাত্রীদের মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। এমনকী, যথাযথভাবে কেউ যদি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করে তাহলেও কড় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে এই মুহূর্তে কোভিড ১৯-এর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডিজিসিএ-এর সাউ বার্তা কোনও যাত্রী যদি এই নির্দেশিকা মানতে না চায় তাহলে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এমনকী এর বাইরেও আরও কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে বিমান সংস্থা। এমন নির্দেশও নাকি দিয়েছে ডিজিসিএ।
বিমান সংস্থাগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে সারা যাত্রায় যাত্রীরা এক্কেবারে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বসে থাকার বিষয়টি। বিমানে যাতে যথাযথভাবে স্যানিটাইজ করা থাকে তাও এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশিকা ঠিকমত পালন হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য সারপ্রাইজ ভিজিটও করতে পারে ডিজিসিএ। এমন কথাও ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। এই সারপ্রাইজড ভিজিট শুধু যে বিমানে হবে তা নয়, বিমানবন্দরের লাউঞ্জ থেকে রানওয়ে-তেও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর অর্থ, শুধু বিমানযাত্রীরাই নয় বিমানবন্দরের প্রতিটি কর্মীকেও মাস্ক পরে থাকতে হবে ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।
জুন মাসেও এর আগে এমনই নাকি সার্কুলার দিয়েছিল ডিজিসিএ। কিন্তু কোনও বিমান সংস্থাই তা ঠিকমত পালন করেনি। তাই এবার রীতিমত কড়া ধনকের সুরেই নতুন নির্দেশিকা বিমান সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
জুন মাসে যে নির্দেশিকার জারি করা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল যে অত্যন্ত একটা জরুরি পরিস্থিতি বিমানযাত্রীরা মুখ থেকে মাস্ক সরাতে পারবেন। এর জন্য যথাযথ কারণও থাকতে হবে। এবারের নির্দেশিকায় ডিজিসিএ নজরদারি আরও বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে। মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রীকে বিমানবন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরকেও চব্বিশ ঘণ্টা ধরে যথাযথভাবে স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে। এমনকী বিমানবন্দরের ভিতরে লবি থেকে শুরু করে লাউঞ্জে লোকের যাতায়াত রয়েছে এমন কোনও স্থানে স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন---
গুরুতর অসুস্থ কিম জং উন, অসুস্থতার জন্য প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করলেন তাঁর বোন
কোভিশিল্ড- কোভ্যাকসিনের দুটো ডোজের পরে বুস্টার ডোজ, 'Corbevax'-কে ছাড়পত্র কেন্দ্রের
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা দেখে ভীত মিশমি, অভিনেত্রীর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও