সরকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে মঙ্গলবার আস্থা ভোটের মুখমুখি হতে হয়নি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে। এদিকে আস্থা ভোটের দাবিতে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে পদ্ম শিবির। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশ সরকার, বিধানসভার স্পিকার ও কংগ্রেসকে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা বুধবার। তার আগেই মধ্যপ্রদেশ নিয়ে নতুন নাটক শুরু।
আরও পড়ুন: শহরে প্রথম করোনা রোগীর শরীরে নেই কোনও উপসর্গ, খোঁজ শুরু হল আক্রান্ত তরুণের সহযাত্রীদের
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ধর্ষণের সাজা দিল ২টো থাপ্পড়, অভিযোগ নিল না পুলিশ
বেঙ্গালুরুতে আটকে থাকা দলের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে মঙ্গলবারই কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়। আর বুধবার ভোরে রামাদা হোটেলে স্বয়ং হাজির হন বর্ষীয়াণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। কংগ্রেসের অভিযোগ এই বিজেপি আটকে রেখেছে তাদের বিধায়কদের। যদিও মাঝপথেই দিগ্বিজয়কে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর রাস্তাতেই ধরনায় বসে যান বর্ষীয়াণ কংগ্রেস নেতা। এর পরেই পরিস্থিতি সামলাতে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় বেঙ্গালুরু পুলিশ।
এদিন দিগ্বিজয় সিং ফের জানান, তাঁর সঙ্গে অপহৃত ৫ বিধায়কের কথা হয়েছে। তাংজের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিধায়করা। তাঁদের পরিবারের তরফ থেকেও একই কথা জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় তিনি নিজেই অপহৃত বিধায়কদের উদ্ধার করতে বেঙ্গালুরু এসেছেন।
এদিকে এদিন ভোরেই মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন বিধানসভার স্পিকার এনপি প্রজাপতিকে একটি চিঠি দেন। যেখানে রাজ্যের ৬ মন্ত্রীর পদত্যাগ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশংসা করা হয়েছে। আগেই কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক নিজেদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। যার জেরে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ১৫ মাসের সরকার।