অন্ধ্র-বাংলা'কে বাদ দিয়ে চালু হচ্ছে বিমান চলাচল, ভ্রমণের ক্ষেত্রে মানতে হবে কী কী নিয়ম

দু'মাস পর চালু হচ্ছে বিমান চলাচল। তবে বাদ অন্ধ্র ও বাংলা। এই দুই রাজ্যে বিমান চলতে আরও কদিন সময় লাগবে। তবে অন্তর্দেশিয় ভ্রমণে মানতে হবে কিছু নিয়ম।

 

অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলি বাদে সোমবার থেকে ফের যাত্রা শুরু করছে আন্তর্রাজ্য বিমান চলাচল। করোনাভাইরাস মহামারি রুখতে জারি হওয়া দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে গত দু'মাস ধরে দেশের মধ্যে উড়ান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রবিবার বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর এই কথা জানান অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী হরদীর সিং পুরি।

তিনি জানিয়েছেন ২৬ মে থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া এবং ভাইজাগ বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল শুরু হবে। আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ২৮ মে থেকে বিমান চলাচল শুরু করবে, তবে তাও সীমিত আকারে। তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে চেন্নাই বিমানবন্দরে দিনে সর্বাধিক ২৫টি বিমান অবতরণের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সেখান থেকে বিমান অন্যত্র যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সীমা নেই। এছাড়া দক্ষিণী রাজ্য়ের ন্যান্য বিমানবন্দরগুলিতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই বিমান চলবে। আর মহারাষ্ট্রের মুম্বই থেকে ওঠা-নামা দুই ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র সময়সূচীতে থাকা এক তৃতীয়াংশ উড়ান পরিচালিত হবে।

Latest Videos

সোমবার থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান ভ্রমণ এবং ট্রেন চলাচল ফের শুরু হওয়ার এই সিদ্ধান্তের কারণে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে রবিবার বিমান, ট্রেন এবং অন্তঃরাষ্ট্রীয় যে কোনও ভ্রমণের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত রেল স্টেশন, বিমানবন্দর এবং বাস স্টপগুলিতে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানতে হবে এবং জায়গাগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ বা জীবানুমুক্ত করা হবে। এই জায়গাগুলিতে রাজ্যপ্রশাসনকে সাবান এবং স্যানিটাইজারের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের মুখে আবরণ বা মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। হাতের স্বাস্থ্যবিধি, শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে।

এছাড়া প্রতিটি যাত্রীর প্রস্থানের সময় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বিষয় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে। শুধুমাত্র অ্যাসিম্পটমেটিক অর্থাৎ উপসর্গবিহীন যাত্রীদেরই বিমান, ট্রেন বা বাসে উঠতে দেওয়া হবে। কোনও যাত্রীর কোভিড-১৯'এর উপসর্গ দেখা গেলেই তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা হবে এবং ১৪ দিবনের জন্য পৃথকীকরণ করা হবে। মধ্যম ও বেশি উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে। আর হালকা লক্ষণযুক্ত যাত্রীরা তাদের বাড়িতে স্ব-বিচ্ছিন্ন হওয়া বা  সরকারী / বেসরকারী কোভিড-19 কেয়ার সেন্টারের বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নিতে পারেন। অ্যাসিম্পটম্যাটিক যাত্রীদের-ও ১৪ দিনের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের উপর স্ব-পর্যবেক্ষণের শর্ত মানতে হবে। কোভিড-এর লক্ষণ দেখা দিলে জেলা / রাজ্য / জাতীয় কল সেন্টারে জানাতে হবে। এর পরেও রাজ্যগুলি যদি আরও কোনও বিধি নিষেধ চাপাতে চায়, তারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে আরও জানানো হয়েছে, যাত্রীদের জন্য যোগাযোগ-খোঁজের অ্যাপ 'আরোগ্য সেতু' ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে যাত্রীদের এটা ডাউনলোড করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘Yunus সাহেবের আদৌ মেরুদণ্ড সোজা আছে কিনা সন্দেহ!’ Sukanta-র ঝাঁঝালো তোপ ইউনূসকে | Sukanta M
Rajesh Karla-র সঙ্গে বিশেষ আলোচনায় Sebastian Coe, মুখ খুললেন ভারত, মোদী এবং তাঁর জীবনযাত্রা সম্পর্কে
Suvendu Adhikari : 'সোমবার বর্ডার-এ বুঝিয়ে দেবো ইউনূসকে' #shorts #suvenduadhikari #bangladeshcrisis
Bangladesh ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন Mamata Banejee, দেখুন কী বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী
চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে হিন্দুদের মহামিছিল বাংলাদেশের রংপুরে, দেখুন | Chinmay Krishna Das