চিন সীমান্তের শেষ ভারতীয় গ্রামে এখনও কঠোর লকডাউন, পর্যটকদের ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না

  • সীমান্তের শেষ গ্রাম মানা
  • উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় 
  • এবার ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের 
  • খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে প্রাচিন এই গ্রামটি না দেখে 

Asianet News Bangla | Published : Oct 11, 2020 12:59 PM IST

এখনও কঠোরভাবেই লকডাউন পালন করা হচ্ছে ভারত আর চিন সীমান্তে ভারতীয় দিকের শেষ গ্রাম মানাতে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় এই গ্রাম। গ্রামের সীমান্তে একটি ব্যারিকেড দিয়ে সাইনবোর্ড ঝোলান হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে বহিরাগতগ্রে গ্রামে প্রবেশের অধিকার নেই। সমস্যার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তাঁরা। চিন সীমান্ত থেকে মাত্র ৫৫ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। কেদারনাথ আর বদ্রীনাথে আসা পর্যটকরা প্রতিবছরই এই গ্রামটি দেখতে আসেন। পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ রোজগারের মাধ্যমে পাহাড় ঘেরে ছোট্ট এই গ্রামটিতে। কিন্তু চলতি বছর এই গ্রামটি কোনও পর্যটকদেরই গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। 

অলকানন্দার তীরে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম মানা। চিন সীমান্ত ঘেঁসা হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরেই তিব্বতিদের আনাগোনা ছিল এই গ্রামে। ভারত আর তিব্বতের প্রাচিন বাণিজ্য রাস্তা এই গ্রামের ওপর দিয়ে যায়। তাই গ্রামটি পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র।  পুরাণ অনুযায়ী এই গ্রাম থেকেই পঞ্চ পাণ্ডব স্বর্গ যাত্রা শুরু করেছিল। চলতি পর্যটন মরশুমে গ্রামটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। ফিরত পাঠান হয়েছে উত্তর প্রদেশের এক দল পর্যটকদের। কিন্তু কেন এই আরচণ? তা নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি গ্রামের বাসিন্দারা। উত্তর প্রদেশ থেকে ফিরে আসা পর্যটকরা জানিয়েছেন গ্রামের প্রবেশ পথে একটি ব্যারিকেড করা ছিল। আর সেখানে পাহারা দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ৩১ বছরের অনিল কালা। তিনি গ্রামে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন। পর্যটকরা তাঁগের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট দেখানোর পর অনিল কালা নামের ওই ব্যক্তি তাঁদের আগামী বছর গ্রামে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। 

চলতি মাসেই উত্তরাখণ্ড খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। আর তাতে রাজ্যটিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ শতাংশ বেড়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হাতথেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয়দের অনুমতি নিয়ে গ্রাম প্রশাসন গ্রামের মধ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছে। আর স্থানীয়দের দাবি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলেই তাঁরা সফল হয়েছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে। গ্রামটিতে এখনও পর্যন্ত কোনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আর্থিক সংকট রয়েছে। কারণ মূলত ফুল, আলু রফতানি আর পর্যনট শিল্পের ওপর নির্ভর করেই এই গ্রামের আর্থনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন উমা ভারতীয় বদ্রীনাথ সফরের পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরই তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। করোনাকে হারাতে বদ্রীনাথ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এই গ্রামটিতে জারি করা হয়েছে লকডাউন। 

Share this article
click me!