ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য চিনের দরজা বন্ধ, আশঙ্কার কালো মেঘ জমছে শিক্ষার আকাশে

  • মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে চিন
  • শুরু হয়েছে স্বাভাবিক জীবন
  • শুরু হয়েছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস
  • কিন্তু এখনও প্রবেশের অধিকার নেই ভারতীয়দের 
     

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে চিন। শুরু হয়েছে কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। কিন্তু চিনের সেই ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পরছেন না ভারতীয় পড়ুয়ারা। ভারতীদের জন্য এখনও দরজা বন্ধ করে রেখেছে বেজিং। সেই জানুয়ারি মাস থেকেই অনলাইন পড়াশুনার ওপরই ভরসা রাখতে হয়েছে তাঁদের। বেশ কয়েকটি কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। চিনা পড়ুয়ারা শ্রেণিকক্ষে বসেই পড়াশুনা সারছেন। কিন্তু ভারতীয়দের ক্লাস হচ্ছে অনলাইন মাধ্যমে। 

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৩০০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য চিনে পাড়ি দিয়েছিল। যারমধ্যে ২১০০০ জন ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পড়ুয়া। আর বাকিরা পড়াশুনা করেছেন ভাষা নিয়ে। কয়েকজন রয়েছেন ডাক্তারির ছাত্র বা ছাত্রী।  করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই চিনা নবর্ষের জন্য স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে লম্বা ছুটি ছিল। সেই সময় অনেকেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। তারপরই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ  মহামারির আকার নেয়। মহামারিকালেও চিন থেকে পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার অর্থ ভারতীয় পড়ুয়ারা সেই জানিয়ারি বা ফেব্রুয়ারি থেকেই রয়েছে এই দেশে। কিন্তু মরামারি প্রাদুর্ভাব রুখতে লকডাউনের পথে হেঁটেছিল চিন। সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছিল অনলাইন ক্লাস। চিনে পাঠরত ভারতীয় ছাত্ররা জানিয়েছেন জুম কলের মতই একটি চিনা অ্যাপের মাধ্যমে তাঁরা অনলাইন ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন।  থিওরিক্যাল পড়াশুনা হলেও প্র্যাক্টিক্যাল থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। মহামারি তাঁদের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে বলেও আক্ষেপ করছেন অনেকে। চিনা সময় সকাল  ৬টা শুরু হয় অনলাইন ক্লাস। আর তা চলে দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত। চিনা শিক্ষকরা ব্যক্তিগতভাবে ভারতীয়পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেও জানিয়েছেন অনেকে। 

Latest Videos

কিন্তু সমস্যা তৈরি করেছে শি জিংপিং-এর প্রশাসন। কারণ মহামারি রুখতে নতুন নিয়ম লাগু করেছে জিংপিং প্রশাসন। মাসখানের আগেই জিংপিং সরকার ঘোষণা করে বিদেশি এমনকি পড়ুয়াদের জন্য দরজা বন্ধ করে রেখেছে । আর সেই জন্যই ভারতীয় পড়ুয়ারা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। অনলাইন ক্লাসই তাঁদের ভরসা। চিনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল ছাত্রীর কথায় সকাল ৬টা থেকে ক্লাস শুরু হয়। চলে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। সবপাঠীরা যখন প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করেন তখন ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখতে পান তিনি। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ভারতে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ভারতের থেকে চিনে থাকা অনেকটাই নিরাপদ। 

একই সঙ্গে ভারতীয় পড়ুয়াদের আরও ভাবিয়ে তুলেছে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনা। প্যাংগংসহ বিস্তীর্ণ লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবার দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়েছে। ইতিমধ্যেই যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর। লাদাখের উত্তেজনার কারণে চিন যদি ভারতীয় পড়ুয়াদের সেদেশে আর প্রবেশের অনুমতি না দেয়, তাহলে কী হবে? আশঙ্কার কালো মেঘ দেখতে শুরু করেথেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। 


 

Share this article
click me!

Latest Videos

RG Kar কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, সাজা ঘোষণা সোমবার | RG Kar case update today | Sanjay Roy
'যা করার প্রথম পাঁচ দিনে করে দিয়েছে মমতার পুলিশ', সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হতেই মন্তব্য সুকান্তর
স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতেই চোখের সামনে আসলো ভয়ানক দৃশ্য! শেষে নিজের মায়ের হাতেই এইরকম হলো | Canning
রায় ঘোষণার পর কোর্টে চিৎকার! বিচারকের সামনে বিস্ফোরক দাবী সঞ্জয়ের | RG Kar latest news | RG Kar Case
জেটির মজা নিচ্ছেন King Kohli, দেখুন সেই মুহূর্ত! #shorts #shortsfeed #shortsvideo #shortsviral