রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্য়া। শুক্রবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত ১৭ হাজার ৩৩৫ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতে জারি ৫৫ ঘণ্টার উইকেন্ড কারফিউ (55 Hour Weekend Curfew)।
দেশ জুড়ে আছডডে পড়েছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউ। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের (Omicron) সংখ্যা। অনেকেই এতে তৃতীয় ঢেউ না বলে সুমানি বলেও আখ্যা দিয়েছে। দেশের যে রাজ্যগুলির অবস্থা সবথেকে বেশি উদ্বেগজনক তাদের মধ্যে ওপরের সারিতে রয়েছে রাজধানী দিল্লি (Delhi)। সেখানে কোভিড সংক্রমণ রীতিমত আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। যেই কারণে পরিস্থিতি নিয়মন্ত্রণে আনার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে দিল্লির কেজরিওয়াল (Kejriwal) সরকার। শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লিতে একদিনে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৩৫ জন মানুষ। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। দিল্লির পজিটিভিটি রেট ১৭.৭৩ শতাংশ। যা কিনে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। শুক্রবার পর্যন্ত দিল্লিতে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্য়া ৬ হাজার ৯১২টি।
পরিস্থিতি যত দিন এগোচ্ছে এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে যে যেই কারণে কিছুটা লাগাম টানার জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। আগামি ৫৫ ঘণ্টা কারফিউ জারি (55 Hour Weekend Curfew) করা হয়েছে রাজধানিতে। শুক্রবার রাত ১০ টা থেকে শুরু করে সোমবার বিকেল বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কারফিউ জারি থাকবে। এই সময়ে বন্ধ থাকবে দোকান,শপিং মল ও বাজারগুলি। প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও এমার্জেন্সি পরেষেবাগুলিকোবু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যারা বাইরে যাবেন তাদের সরকার কর্তৃক জারি করা ই-পাস বা বৈধ পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে। এছাড়া সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও চিকিৎসার জন্য ছুটি ছাড়া সমস্ত ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফ থেকে। কারণ তৃতীয় ঢেউতে যেবাবে চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে পরিষেবা যতটাসম্ভব স্বাভাবিক রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বেরোলেও নির্দিষ্ট কোভিড বিধি পালনের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া অন্য়ান্য দোকানগুলি খোলার জন্য জোর-বিজোর নীতি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশ না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লির সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে তাদের এখতিয়ারের অধীনে সমস্ত দোকানের সংখ্যা দিতে বলা হয়েছে। কারণ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে,'আমরা সপ্তাহান্তে কারফিউ কার্যকর করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছি। মার্কেট, রাস্তা, কলোনি এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেসে কঠোর নজরদারি থাকবে। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা এনফোর্সমেন্ট স্কোয়াডের সংখ্যাও বাড়াব।'