জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তারপর রাজ্যের বন্ধরের পরিবেশ দূর হয়েছে। ইন্টারনেটও চালু হয়েছে। কেটে গিয়েছে ছয়-ছয়টা মাস। কেমন আছে কাশ্মীর? দেখতে উপত্যকায় এলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ মোট ১৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত-দের একটি দল। তবে মোদী সরকারের এই 'গাইডেড ট্যুর' প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে বিশেষ চার্টার্ড বিমানের তুষাড়াবৃত শ্রীনগরে এসে পৌঁছান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, উজবেকিস্তান, নাইজার, নাইজেরিয়া, মরক্কো, গায়ানা, আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইন্স, নরওয়ে, মালদ্বীপ, ফিজি, টোগো, বাংলাদেশ এবং পেরুর রাষ্ট্রদূতরা। শ্রীনগরের টেকনিকাল এয়ারপোর্টে তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন সদ্যগঠিত জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শীর্ষ কর্তারা।
এদিন বেলার দিকে তাঁরা যাবেন নবগঠিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শীতকালীন রাজধানী জম্মু-তে। সেখানে তাঁরা লেফটেন্যান্ট গভর্নর জি সি মুর্মু-র সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। এর সঙ্গে কাশ্মীরের সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন বিদেশী প্রতিনিধিরা। রাতটা জম্মুতেই কাটাবেন বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা। ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে আরণহা কোরিয়া দো লাগো-রও জম্মু ও কাশ্মীর সফরে আসার কথা ছিল। তবে দিল্লিতে ব্যস্ততার কারণে তিনি আসতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই সফর ঘিরে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এই সফরে আসেননি মোদী সরকারের 'গাইডেড ট্যুরে' আগ্রহী না হওয়ার কারণে। শোনা যাচ্ছে এখনও বন্দি থাকা জম্মু ও কাশ্মীরে তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, ফারুক আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি-র সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তাতে সরকার রাজি না হওয়াতেই সফরে আসেননি তিনি।
যদিও এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইইউ-এর রাষ্ট্রদূতরা দল বেঁধে জম্মু-কাশ্মীরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিনিধি সংখ্যায় সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে তার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। শোনা যাচ্ছে সরকারে পক্ষ থেকে পরে অন্য একটি দিনে ইইউ-এর রাষ্ট্রদূতদের জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে তাঁরা জোর দিয়েছেন, যা সম্ভব হবে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।