তবে কি দিল্লিতে আছড়ে পড়ল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ, কেজরিওয়ালের কথায় আশঙ্কা দানা বাঁধছে

  • দিল্লিতে বাড়ছে করোনাভাইরাসরে সংক্রমণ 
  • দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
  • বিশেষজ্ঞরা তেমনই মনে করছেন 
  • জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল 

Asianet News Bangla | Published : Sep 24, 2020 11:34 AM IST

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যে জাতীয় রাজধানীতে শুরু হয়ে গেছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ। ইতিমধ্যেই যা প্রত্যক্ষ করতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ চলতি মাসের গোড়ার দিকে থেকেই ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ছে দিল্লিতে। আর তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি আরও বলেছেন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বড়বে। 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কথায় গত পয়লা জুলাই থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু বর্তামানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে নতুন করে ৪৫০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। তারপর থেকেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তিনি আরও বলেন গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭০০ জন। আগামী দিনে সংখ্যাটা কমবে বলে খুব একটা আশা করছেন না তিনি। তাঁর কথায় আগামী দিনে সংখ্যা ৪ হাজারে গিয়ে পৌঁছাতে পারে। 

চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে দিল্লি। বর্তমানে দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। দেশের করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে জাতীয় রাজধানী। ডক্তার রাজেন্দ্র প্রসাদ সেন্ট্রাল এগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে দিল্লিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে গড়ে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বাড়ান হয়েছে নমুনা পরীক্ষার হারও। কিন্তু কিছুতে রাশ পরানো যায়নি সংক্রমণে। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসৌদিয়া। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যখন সংক্রমণ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছিল তখন এই রোগটির ওপর লাগাম পরানো গিয়েছেন।  স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সেই কাজ সম্ভব হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 


 

Share this article
click me!