৯ সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে গেল নয়ডার টুইন টাওয়ার, ব্যবহৃত বিস্ফোরক ঠিক কতটা শক্তিশালী জেনে নিন


আপনি জানেন কি নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা ৩টি অগ্নি-৫,  ১২টি ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র আর চারটি পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের সমান। ধ্বংসের জন্য খরচ করা হয়েছে ২০ কোটিরও বেশি টাকা।

Saborni Mitra | Published : Aug 28, 2022 10:33 AM IST

নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়েছিল প্রায় তিন হাজার কিলো ৭০০ গ্রাস বিস্ফোরক।  রবিবার দুপুর ২টো ৩০ মিনিটে ডায়নামোতে সুইচ টেপার সঙ্গে সঙ্গে ৯ তিন সেকেন্ডেরও কম সময় গুঁড়িয়ে যায় ১০০ মিটার লম্বা এই বিতর্কিত বহুতল। ৩৪টি তলা রয়েছে এই বাড়িটিতে। দিল্লিতে অনেকেই দাবি করেছিল এই বহুতলটি কুতুব মিনারের তুলনায় উঁচু।  কিন্তু আপনি জানেন কি নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা ৩টি অগ্নি-৫,  ১২টি ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র আর চারটি পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের সমান। ধ্বংসের জন্য খরচ করা হয়েছে ২০ কোটিরও বেশি টাকা। 
 

তাহলে এবার নজর রাখুন ভারতের প্রতিরক্ষা অস্ত্রগুলি ঠিক কতটা শক্তিশালীঃ

অগ্নি-৫
এটি তৈরি করেছে  প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা অর্থাৎ ডিআরডিও ও ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড। এটির ওজন প্রায় ৫০,০০০ কিলোগ্রাম। ক্ষিপণাস্ত্র ১.৭৫ মিটার লম্বা। যার ব্যাস দুই মিটার। ১.৫০০ কিলোগ্রাম ওয়ারহেডটি কঠিন জ্বালানি দিয়ে চালান হয়। এটি তিন স্তরের রকেট বুস্টারগুলির ওপর স্থাপন করা হয়েছে। 
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে তারা দ্রুততম সময় ICBM শব্দের গতির যেতে ২৪ গুণ বেশি দ্রুত গতিতে পৌঁছাতে লক্ষ্য বস্তুর ওপর হামলা চালাতে পারে। প্রতি সেকেন্ডে ৮.১৬ কিলোমিটার যেতে পারে। প্রতি ঘণ্টার এটির গতিবেগ ২৯.৪০১ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি রিং লেজার জাইরোস্কোপ ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। যা স্যাটেলাইট গাইডেন্সের সঙ্গে কাজ করে। ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্দিষ্ট নির্ভুলতার সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। মোবাইল লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণা করা যেতে পারে। 

ব্রাহ্মোস মিসাইল
এটি ৩০০ কিলোগ্রাম ওয়ারহেড বহন করতে পারে। শীর্ষ সুপারসনিক গতি রয়েছে। মাক ২.৮ থেকে ৩। এই ফ্লাইট পরীক্ষাটি পূর্ব উপকূল আর ডাউন রেঞ্জ জাহাজ জুড়ে মোতায়েনন টেলিমেট্রি, ব়্যাডার ও ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম -সহ রেঞ্জ ইন্সিট্রুমেন্টেশনের সমস্ত সেন্সার দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। 

ব্রাহ্মোস ভারতের ডিআরডিও আর রাশিয়াপ এমপিওএম-এর যৌত উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল। উভয় দলই এই ইভেন্টে অংশ নিয়েছিল। উদ্দেশ্য হল শক্তিশালী, অত্যান্ত বহুমুখী ব্রাহ্মোসকে ক্রমাগত আপডেট করায যাতে সমুদ্র ও স্থল যে কোনও জায়গা থেকে লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে কার্যকারিতা পাওয়া যায়। মোটকথা সাফল্যের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। ব্রাহ্মোস একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ইতিমধ্যেই সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী আর নৌবাহিনী বিভিন্ন ভেরিয়েন্টে ব্যবহার করে। 

পৃথ্বী মিসাইল
এটি একটি কৌশলগত সারফেস টু সারফেল শর্ট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। এটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষ গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার। ভারতের কমান্ড বাহিনীতে এটি মোতায়েন করা হয়েছে। কমান্ড বাহিনী হল কৌশলগত বাহিনী। 

১২ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে যাবে কুতুব মিনারের থেকে উঁচু টুইন টাওয়ার , আতঙ্কের প্রহর শুরু 

চোখের পলকে গুঁড়িয়ে গেল কুতুব মিনারের থেকে লম্বা নয়ডা টুইন টাওয়ার, দেখুন ভিডিও
কয়েক মিনিটে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে ৪০ তলা টুইন টাওয়ার, শুরু হয়েছে প্রস্তুতি

Share this article
click me!