স্বাধীনতার ইতিহাসে গুরুত্ব পায়নি চৌরিচৌরার আন্দোলনকারীরা, কৃষকরাই দেশের মেরুদণ্ড বললেন মোদী

  • চৌরিচৌরার ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান 
  • ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানের সূচনা 
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের জন্য বার্তা দেন 
  • দেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে কৃষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ 
     

কৃষকরাই দেশে মেরুদণ্ড। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে তারা। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চৌরিচৌরার ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের চৌরিচৌরা ঘটনার শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এমনই মন্তব্য় করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করে তিনি বলেন, এটাই দুর্ভাগ্যজনক যে চৌরিচৌরার শহিদদের নিয়ে যতটা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ততটা আলোচনা হয়নি এই দেশে। তিনি আরও বলেন যদিও তাঁদের তেমনভাবে স্থান দেওয়া হয়নি ইতিহাসে। কিন্তু তাঁদের রক্ত রয়েছে এই দেশের মাটিতে। যা আজও দেশবাসীকে অনুপ্রেরণা যোগায়। 

কৃষক আন্দোলন নিয়ে চলছে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র, স্পষ্ট হল গ্রেটা থুনবার্গের মুছে ফেলা বার্তা থেকে ...

Latest Videos

কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে টুইটারকে কড়া নোটিশ কেন্দ্রের, হিংসার তদন্তে হস্তক্ষেপে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট ...

চৌরিচৌরার অনুষ্ঠাণে উঠে আসে দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলন। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দেশের কৃষক সম্প্রদায়। চৌরিচৌরাতেই তাদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেই সব দিক বিবেচনা করে গত ৬ বছর তাঁদের স্বাবলম্বী করার জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর ফলস্বরূপ মহামারি চলাকালীন সময়ও কৃষিখাতে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। চৌরিচৌরার ঘটনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন আজও এই আন্দোলন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে কৃষকদের কোনও বিকল্প নেই। বর্তমানে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলনের কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কৃষকদের লাভবান করতে আরও এক হাজার মাণ্ডিকে এনাম অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের একতা ও অখণ্ডতাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার সরকার। 


১৯২২ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় একদল স্বাধীনতা সংগ্রামীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সেই সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি লচালায়। তারপরই বিক্ষুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামীরা, স্থানীয় পুলিশ চৌকিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ২৩ জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে হত্যাও করা হয়। এই হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও চৌরিচৌরার ঘটনা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহামে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে রয়েছে। এই ঘটনায় ২২৮ জনের বিচার হয়। বিচার প্রক্রিয়া চলার সময়ই ৬ জনের মৃত্যু হয়। ৮ মাসের বিচাপে ১৭৮ জনকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। 


 

Share this article
click me!

Latest Videos

অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
ইসকনের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে? Narendra Modi
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
পুলিশি অভিযানে বড়সড় সাফল্য! উত্তেজনা রানাঘাটে, দেখুন | Ranaghat News Today
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া, কী বলছেন, দেখুন সরাসরি