'আমরা আমাদের খাবার নিয়ে এসেছি', বিজ্ঞান ভবনের বৈঠকে কেন বলল আন্দোলনকারী অন্নদাতারা

  • কেন্দ্রীয় সরকারের খাবার ফিরিয়ে দিল বিক্ষোভকারী কৃষকরা 
  • আগেই চা খাবার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিল 
  • ৪০টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হয় 
  • নিজের নিয়ে যাওয়ার খাবার খেয়েই বৈঠক 
     

Asianet News Bangla | Published : Dec 3, 2020 11:48 AM IST / Updated: Dec 03 2020, 08:31 PM IST

দিল্লির কৃষকদের আন্দোলন ৮ দিন পড়ল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী  বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চতুর্থ দফার বৈঠকে বসেছে ৪০টি আন্দোনলকারী কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি। দীর্ঘসময় ধরে চলে বৈঠক। আর সেই কারণে বৈঠকের মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য কিছুটা বিরতি নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় আন্দোলনকারী দেশের অন্নদাতারা সরকারি খাবার প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তাঁরা নিজেদের খাবার সঙ্গে এনেছেন।  সরকারি খাবার ফিরিয়ে দিয়ে তাঁরা বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খাওয়া শুরু করেন। 

এক কৃষক নেতা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা তাঁদের দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের সেই আবেদন ফিরিয়ে দেন। তাঁরা পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন বিক্ষোভ স্থলে তাঁদের লঙ্গরের ব্যবস্থা রয়েছে। আর সেখান থেকেই তাঁরা খাবার আনিয়ে নেবেন। এক কৃষক নেতা জানিয়েছেন বৈঠক চলাকালীন তাঁরা সরকারের দেওয়া চা-এর প্রস্তাবও গ্রহণ করেননি। স্বাভিমান বজায় রাখতেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন অন্নদাতারা। 

নয়াদিল্লি বিজ্ঞানভবনে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্র নরেন্দ্র সিং তোমর, বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের উপস্থিতিতেই আন্দোলনরত অন্নদাতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পাশ করা কৃষি বিলের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে। অবিলম্বে বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তারা সরব হয়েছে। সেই উদ্দেশ্যেই তাদের দিল্লি চলো অভিযান। কিন্তু দিল্লি পুলিশের ব্যারিকেডের ফলে তাঁরা এখনও দেশের জাতীয় রাজধানীতে ঢুকতে পারেননি। তবে তাঁরাও দিল্লির সীমানা এলাকায় বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছেন। আর কৃষকদের এই আন্দোলনের কারণে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দিল্লি। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি সহ বিক্ষোভকারী কৃষকরা নূন্যতম সহায়ক মূল্যেরও দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে এদিন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে গুজরাতের কৃষকরাও। কৃষকদের এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বিজেপির দীর্ঘ দিনের জোট সঙ্গী শিরোমণি অকালি দলের প্রধান ও পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল পদ্মভূষণ খেতাব ত্যাগ করেছেন। তাঁর একথা ঘোষণার কিছু সময় পরেই   অকালি দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুকদেবসিং দিন্দসা পদ্ম বিভূষণ খেতাব ত্যাগ করার কথা বলেন। 

অন্যদিকে এদিন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন। প্রায় আধঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, তিনি কৃষকদের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিন্তাভাবনা করার আবেদন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পঞ্জাবের বিক্ষোভকারী কৃষকদের সদর্থক হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তবে কৃষকরা এখনও পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত অনড় রয়েছে। এদিনও তারা জানিয়ে দিয়েছেন ৬ মাস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মত রসদ তাদের মজত নিয়েই দিল্লি চলো অভিযান শুরু করেছে। 

Share this article
click me!