দিনভর রাজধানীতে চলে কৃষকদের তাণ্ডব। টানা দুমাস শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পর ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে দেশের জাতীয় রাজধানী সাক্ষী থাকল কৃষকদের তাণ্ডবের। কিন্তু তারপরেও কৃষক আন্দোলনের নেতারা কৃষকদের পক্ষেই সওয়াল করেন। তাঁদারে দাবি রাজনৈতিক দলের লোকজনই তাঁদের আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে কৃষক সংগঠনের মুখপাত্র রাজেশ টিকাইত।
বুধবার ২৬ জানুয়ারি সকাল থেকেই গোটে দেশের নজর ছিল দিল্লিতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেডের দিকে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর কৃষকদের মিছিলে ছাড়পত্র দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। শান্তিপূর্ণ মিছিলের আবেদন জানানোর পাশাপাশি কৃষকদের বলা হয়েছিল সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডের পরই তাঁরা নির্দিষ্ট রুটে প্যারেড করতে পারবে। সেই সময়ই স্পষ্ট হয়ে যায় এদিন আন্দোলনকারী কৃষক নেতাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল একটি মিছিল করা। কিন্তু সকাল থেকেই ছবিটা ছিল অন্য। দিল্লি পুলিশের এক মহিলা আধিকারিক জানিয়েছেন এদগিন নির্ধারিত সময়ের আগে থেকে কৃষকদের মিছিল শুরু হয়ে যায়। মিছিল নির্ধারিত রুট না মানায় বারবার তাদের সতর্ক করা হয়েছিল।কিন্তু কৃষকদের মিছিলে রাশ পরাতে সক্ষম হয়নি দিল্লি পুলিশ। বেশ কিছু এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোথায় পুলিশ লাঠি চার্জ করে। কোথাও আবার ক্যাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয়। এই পরিস্থিতি দিল্লির আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে বৈঠকেও বসতে হয়।
প্যাংগং-এ জমে যাওয়া লেকে জাতীয় পাতাকা নিয়ে প্যারেড, ছবিতে দেখুন ITBP-র প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন ...
৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের রাষ্ট্রপ্রধানদের শুভেচ্ছা, ভারতে আসার বার্তা বরিস জনসনের ...
অন্যদিকে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ মিছিলের সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সব প্রচেষ্টা ব্যার্থ করে দিয়েছে কিছু ব্যক্তি ও সংস্থা। তাদের কাজ যথেষ্ট নিন্দনীয় বলেও জানান হয়েছে মোর্চার তরফ থেকে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, অসামাজিক ব্যক্তিরা তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলেনে প্রবেশ করে তা নষ্ট করে দিয়েছে। তাদের আন্দোলেনের মূল শক্তি হলও শান্তি। কিন্তু এদিন তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। তবে সংযুক্ত মোর্চার তরফে ট্র্যাক্টর প্যারেডে কৃষকদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানের প্রশংসা করে আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানান হয়েছে। কয়েকটি স্থানের গন্ডোগোলকে অনাকাঙ্খাতি ও গ্রহণযোগ্য নয় বলেও দাবি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে মিছিল শেষে আন্দোলনকারী কৃষকরা আবারও দিল্লির সীমানায় ফিরে আসেন। যেখানে তাঁরা দীর্ঘ ২ মাস ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।