'দ্রুত সিদ্ধান্ত ও সম্পাদন', প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে 'গর্বিত' বাবুল 'আশাবাদী' রাজ্য নিয়েও

আমফানে বিধ্বস্ত বাংলা

১০০০ কোটি টাকার অগ্রিম বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী

শনিবার সেই বরাদ্দের অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক

বাবুল সুপ্রিয় জানালেন গর্বিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও কাজে

 

amartya lahiri | Published : May 24, 2020 7:40 AM IST

শুক্রবারই আমফান বিধ্বস্ত বাংলায় উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে এসে রাজ্যের জন্য ১০০০ রোটি টাকার অগ্রিম বরাদ্দের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার এমনিতে ছুটির দিন হলেও অর্থমন্ত্রক থেকে সেই বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর   সেই রোধী ন 1000Cr এইড মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতার ও সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ সম্পাদনের ক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করলেন। সেইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই অর্থ রাজ্য সরকার দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দেবে।

শনিবার রাতেই এক টুইট করে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, একদিন আগেই বাংলার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ১০০০ কোটি টাকা সাহায্য়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা শনিবার ছুটির দিনেও মুক্ত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্ম-সংস্কৃতি এবং দ্রুততা ও দৃঢ়তার সঙ্গে তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম্পাদনের অনন্য ক্ষমতা নিয়ে তিনি গর্বিত। তাঁর আশা এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক থেকে দেওয়া এই অর্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সেই সাহায্য দ্রুত পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করবে।

শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন বাবুল নিজেও। এমনিতে সবসময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচক হলেও সেদিন তিনি বলেছিলেন, এই সময়টা রাজনীতির নয়। দুই দক্ষ প্রশাসক মিলে এই বিপর্যয় সামাল দিতে পারবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন।

নরেন্দ্র মোদী যে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করে থাকেন তার পরিচয় আগে অনেকবারই পাওয়া গিয়েছে। নোট বাতিল করেছিলেন এক ঘোষণায়, সারা দেশে লকডাউন জারি করেছিলেন ৪ ঘন্টার নোটিশে। কিন্তু, তা কি আদৌ কার্যকরী? নোটবাতিলের পর মানুষের দুর্ভোগ নতুন করে বলার কিছু নেই। অথচ, প্রধানমন্ত্রীর দাবি মতো, কালো টাকার কারবার, জাল নোটের কারবার, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন - কিছুই বন্ধ হয়নি। আবার আচমকা লকডাউন জারি করার বলি হয়েছেন কয়েকশো মানুষ, যাদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। দুইমাস পর তাদের নিজ নিজ গ্রামে ফেরানোর ফলে করোনা-পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে।

তাই, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করাটা কতটা কার্যকরী তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আমফান বিধ্বস্ত বাংলার সাহায্য়ের ক্ষেত্রেও যেমন এই সাহায্যটা ক্ষতি যায় হয়েছে তার তুলনায় নামমাত্র বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। শুক্রবারই এই বিষয়ে সুর মিলে গিয়েছিল সিপিএম ও কংগ্রেসের। তবে প্রধানমন্ত্রী আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব কষে প্রয়োজনে আরও সাহায্য় করা হবে। কিন্তু, এখনও কেন্দ্র এই ভয়ানক পরিস্থিতি-কে জাতীয় বিপর্যয় বলেনি।  

 

Share this article
click me!