বছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুটা সুর চড়ালেন আন্দোলনকারী কৃষকদের ভূমিকা নিয়ে। বরিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আন্দোলনকারী কৃষকদের ট্র্যাক্টর ব়়্যালির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকার অবমাননার ফলে দুঃখ পেয়েছে গোটা দেশ। এছাড়া এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসার ঘটনা নিয়ে এই প্রথম সরাসরি কোনও মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এর আগে লালকেল্লার ঘটনা নিয়ে বিরোধীদলগুলির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধু বলেছিলেন যে, আইন নিজস্ব পথেই চলবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন আমাদের নতুন আশা ও অভিনবত্ব নিয়ে নিয়ে আসতে হবে। গত বছর গোটা দেশই আন্তরিকতা ও সাহস প্রদর্শন করেছে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির কাছে আকর্ষণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমাদের দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে যা সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এটাই ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিন। কিন্তু গোটা বছর ধরেই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সাফল্যের প্রসঙ্গে তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করোনা-ভ্যাকসিনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত যে আত্ম নির্ভর হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে এটাই তার একটা ইঙ্গিত। ভারতের টিকা কর্মসূচির সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, যে বিশ্বের যে কোনও দেশের থেকে অনেক দ্রুততার সঙ্গেই এই দেশে টিকা কর্মসূচি চলছে। মাত্র ১৫ দিনে ৩০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমেরিকা ১৮দিনে ৩৬ লক্ষ টিকা দিয়েছে।
কৃষক নেতা রাকেশের কান্না প্রাণ ফেরাল আন্দোলনের, কৃষক মহাপঞ্চায়েতে জনসমুদ্র ...
কৃষক আন্দোলন নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে রাজনৈতির উত্তাপ, এবার বাকযুদ্ধে স্মৃতি-রাহুল ...
চলতি বছর স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবে দেশ। সেই ঘটনাকে তিনি অমৃত মহোৎসব বলেও বর্ণনা করেছেন। বলেছেন এটাই উপযুক্ত সময় দেশের জন্য যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করার। একই সঙ্গে তিনি বলেন নমো অ্যাপের মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন ১৯৩২ সালে একদল তরুণকে ব্রিটিশরা হত্যাকরেছিল কারণ তারা সেই সেয়ি বন্দে মা তরম ও ভারত মাতা কী জয়- এই দুটি স্লোগান দিয়েছিল। স্বদেশ প্রেম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেও একতিনি উদ্যোগ নিয়েছেন বলেন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তরুণ লেখকদের ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী নিয়ে লেখার আবেদনও জানান হয়েছে।