মুচলেকার বিনিময়ে মুক্তি, সই করলেন পাঁচ কাশ্মীরি নেতা, সেন্টরের ৩৬ অনড়ই

  • রাজনৈতিক কোনও কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া যাবে না
  • এমন মুচলেকা দিলে তবেই কাশ্মীরের আটক নেতাদের ছাড়া হচ্ছে
  • এই মুচলেকাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন, পাঁচ কাশ্মীরি রাজনৈতিক নেতা
  • সেন্টর হোটেলে থাকা ৩৬জন রাজনৈতিক নেতা অবশ্য সই করতে নারাজ

 

amartya lahiri | Published : Sep 20, 2019 6:05 AM IST

রাজনৈতিক কোনও কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন না। মুচলেকা দিয়ে এই কথা জানালে তবেই কাশ্মীরের আটক রাজনৈতিক নেতারদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে সম্প্রতি এই মুচলেকাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন, হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক-সহ আরও চার কাশ্মীরি রাজনৈতিক নেতা।   

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ নম্বর ধারা অর্থাৎ আশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় গত ৫ অগাস্ট থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়ার মুচলেকা দিয়ে মুক্ত হওয়ার পর যদি তাঁরা সেই কথা না রাখেন, তবে তাঁদের কে আইনি বলে গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। আপাতত মিরওয়াইজ ছাড়া এই মুচলেকা দিয়েছেন, ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের দুই প্রাক্তন বিধায়ক, পিডিপির এক প্রাক্তন বিধায়ক ও এক পিপলস কনফারেন্স নেতা।  

গত অগাস্টে প্রায় ৩০০০ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শ্রীনগরে সরকারি হোটেল সেন্টাউর-এ মোট ৩৬ জন প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ততা কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা শাহ ফয়জল-ও। এই ৩৬ জনের কেউই মুচলেকায় সই করতে রাজি হননি বলে জানা গিয়েছে।  

সরকারের তরফে কাশ্মীরের অধিকাংশ এলাকা থেকেই বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তারপরেও অবশ্য অধিকাংশ দজায়গাতেই সারাদিনই প্রায় দোকান-বাজার  বন্ধ থাকতে দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যাবেলা কিছুক্ষণেক জন্য কেউ কেউ দোকান খুলছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সেনাবাহিনীর বা অন্য কারোর চাপে তাঁরা দোকান বন্ধ রাখছেন না, তাঁরা দোকান বন্ধ রেখে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের জন্য সরকারে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

 

Share this article
click me!