গঙ্গাজলের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার জন্য এক ব্যক্তি মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করেন। বাড়িতে এবং হাসপাতালে পরীক্ষা করে অবাক করা ফলাফল পাওয়া যায়। চার দিন পরেও জলে কোন ব্যাকটেরিয়া ছিল না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জিনিস মাইক্রোস্কোপে দেখে পোস্ট করার প্রচলন দেখা যাচ্ছে। খাবার সহ নানা ধরণের জিনিসপত্র মানুষ মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে দেখছেন। খালি চোখে আমাদের অজানা ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখলে ভালোভাবে বোঝা যায়।
এক ব্যক্তি গঙ্গাজলের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার জন্য মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। গঙ্গাজলের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার জন্য ওই ব্যক্তি হরিদ্বার থেকে গঙ্গার জল সংগ্রহ করেন। এরপর, ওই ব্যক্তি প্রথমে নিজের বাড়িতে থাকা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে গঙ্গাজলের নমুনা পরীক্ষা করেন।
ফলাফল বিশ্বাস না করে, একটি বড় হাসপাতালের ল্যাবে থাকা শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। এবারও তিনি অবাক করা ফলাফল পান।
সাধারণত নদীর জল মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখলে তাতে নানা ধরণের জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়। সেই জল পান করলে তাতে থাকা জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ওই ব্যক্তি যখন নিজের বাড়িতে মাইক্রোস্কোপের নিচে গঙ্গাজল রাখেন, তখন জলে কোন ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু ছিল না। হাসপাতালের শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপ লেন্স দিয়ে গঙ্গাজল পরীক্ষা করার জন্য দেন।
প্রথমে হাসপাতালের শক্তিশালী লেন্স দিয়ে পরীক্ষা করার সময়, সেখানকার বিশেষজ্ঞরাও জলে কোন জীবাণু দেখতে পাননি। চার দিন জল একইভাবে রাখা হয়েছিল। চার দিন পরেও একই নমুনা পরীক্ষা করার পর, তাতে কোন জীবাণু ছিল না। ল্যাবের বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, "এই জল পান করা যাবে। কোন জীবাণু নেই।"
এই বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে ওই ব্যক্তি বলেছেন, গঙ্গাজল বিশুদ্ধ, নষ্ট হয় না, এই বিশ্বাস মিথ্যা নয়। ভিডিওটি দেখে অনেকেই বলেছেন এটি গঙ্গাজলের মহিমা। হরিদ্বারের গঙ্গাজল পান করার উপযুক্ত নয় বলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সতর্ক করেছে, এই পরিস্থিতিতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।