'গ্যাসচেম্বার ' তৈরি করে তিলে তিলে নয়, দিল্লিবাসীকে ১৫ ব্যাগ ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে একেবারে উড়িয়ে দিন। দিল্লির দূষণ প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশ আসার পরও পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় খড় পোড়ানো বন্ধ না হওয়ায় ঠিক এই ভাষাতেই দুই রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, এর জন্য দুই রাজ্যকে বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে বলেও সতর্ক করল শীর্ষ আদালত।
সোমবার বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি দীপক গুপ্তার বেঞ্চ বলেন, এই ভাবে দিল্লির লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ু কমছে। রাজধানীকে নরক বানানোর কোনও অধিকার তাঁদের নেই। কোনও সরকার মানুষের আয়ু কমিয়ে দেবে এটা আদালত মেনে নেবে না। কেন রাজনীতিবিদদের দোষারোপের খেলায় সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে, এই প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছে আদালত।
এদিন আদালতে সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র দেখেন বিচারপতিরা। দেখা যায় আদালতের নির্দেশের পরও দুই রাজ্যে খড় পোড়ানো কমেনি। এমনকী, হরিয়ানা রাজ্যে আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে। এরপরই আদালত মুখ্য সচিবদের প্রশ্ন করেন, এটা কি সুপ্রিম নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের স্পন্সসর করা প্রতিবাদ? খড় পোড়ানোও বন্ধ করা যাচ্ছে না দেখে সারা বিশ্ব এখন হাসছে। দিল্লিবাসীকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এদিন ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির প্রসঙ্গও তোলেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। তিনি, বলেন ভারতে আর মানুষের প্রাণের দাম সস্তা নেই। ভোপাল মামলায় দোষীদের যে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, গোটা বিশ্বে একইরকম ঘটনায় কখনও অত গুরুদণ্ড দেওয়া হয়নি।