ক্ষুধার রাজ্যে 'ভারত' গদ্যমান, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স রিপোর্ট পেশ হতেই মোদীকে তোপ কংগ্রেসের


বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আবারও ধাক্কা খেল ভারত। পাকিস্তান নেপালের মত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির থেকেও নিচে নেমে গেল আমাদের দেশ। ২০২১ সালে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান ছিল ১০১ ।  এবার সেখানে ১২১টি দেশের মধ্যে  ভারতের স্থান ১০৭।

Web Desk - ANB | Published : Oct 15, 2022 10:50 AM IST

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আবারও ধাক্কা খেল ভারত। পাকিস্তান নেপালের মত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির থেকেও নিচে নেমে গেল আমাদের দেশ। ২০২১ সালে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান ছিল ১০১ ।  এবার সেখানে ১২১টি দেশের মধ্যে  ভারতের স্থান ১০৭। যা প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর নেপালের থেকেও পিছনে। 

চিন, তুরস্ক, কুয়েত-সহ ১৭টি দেশে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ৫-এর কম স্কোর করেছে। আর সেই কারণে সেই দেশগুলি রয়েছে পরিসংখ্যনের শীর্ষ স্থানে। চিন রয়েছে এই ইনডেক্সের প্রথম দেশ। শনিবার প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স। যা বিশ্বের সমস্ত দেশগুলির ক্ষুধা আর অপুষ্টি ট্র্যাক করে। প্রবল জন অসন্তোষ আর শাসকদলের ওপর ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বল ক্ষুধা সূচকে শ্রীলঙ্গার স্থান ৬৮। নেপাল রয়েছে ৮১ নম্বরে। আর আর্থিক সংকটে ভোগা বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান রয়েছে ৯৯ নম্বররে। সেখানে ভারতের স্থান ১০৭। ভারতের স্কোর ২৯.১। 

মূলত চারটি বিষয়কে সামনে রেখে তৈরি হয় এই সূচক। সেগুলি হল- অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা, মৃত্যুর হার, উচ্চতা আর ওজনের তুলনা। এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করা হয়- ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থাগুলির থেকে। এই তালিকায় ভারতের নিচে রয়েছে আফগানিস্তান, জাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, নাইজার, কঙ্গো, ইয়েমেনের মত  পিছিয়ে পড়া দেশগুলি। তবে এই তালিকায় রাখা হয়নি, গিনি, জিম্বাবোয়ে, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়ার মত ১৫টি দেশকে। কারণ এই দেশগুলি কোনও তথ্যই সরবরাহ করেনি।    


অন্যদিকে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের রিপোর্ট নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরন রিপোর্টকে উদ্ধৃতি করে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের ৮ বছরে আমাদের নম্বর সবথেকে কম। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখন অপুষ্টি, ক্ষদা শিশুদের উন্নয়ন এই রকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলবেন। তিনি বলেছেন বর্তমান ভারতের এটাই বাস্তব সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান কখন হবে তাও জানতে চেয়েছেন তিনি। 

আইরিশ সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মান সংস্থা ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এই রিপোর্টে ভারতের ক্ষুধার মাত্রাকে গুরুতর বলে চিহ্নিত করেছে।২০২১ সালে ভারত ১১৬টি দেশের মধ্যে ১০১এ ছিল। কিন্তু এবার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ১২১টি দেশকে। কিন্তু সেখানেও ভারতের পরিসংখ্যন নিম্মগামী। বিরোধীরা সরব হলেও কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্য মানতে নারাজ। 

কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স গণনা করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করে সেটি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক।  সরকারি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে এটা খুবই চমকপ্রদ যে গ্লোবাল হাঙ্গার রিপোর্ট ২০২১ অপুষ্টিজনিত জনসংখ্যার অনুপাতের উপর FAO (UN's Food and Agriculture Organisation) অনুমানের ভিত্তিতে ভারতের ব়্যাঙ্ককে কমিয়ে দিয়েছে। যা বাস্তব ও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। সরকারের দাবি যে সংস্থাগুলি এই রিপোর্ট তৈরি করেছে তারা প্রয়োজনীয় পরিশ্রম করে তথ্য সংগ্রহ করেনি। পাশাপাশি যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে সেটিও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি এই তথ্য তৈরি হয়েছে টেলিফোনে ইন্টারভিউ করে। মাথাপিছু খাদ্য শস্যের প্রাপ্যতা দেখা হয়নি। 

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ ডাব্লিউএচইএইচ। তাদের মতে ভারত অপুষ্টির যে তথ্য রাষ্ট্র সংঘের হাতে তুলেদিয়েছিল তা খতিয়ে দেখেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তারা আরও বলেছে ভারত যে ডেটা রাষ্ট্র সংঘে পেশ করে সেই ডেটাই ব্যবহার করে এই ইনডেক্স তৈরি করা হয়। তাই তথ্য ভুল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। 

Breaking News: শিবলিঙ্গের বৈজ্ঞানিক তদন্ত হয়নি, জ্ঞানবাপী নিয়ে হিন্দু পক্ষের আবেদন খারিজ বারানসী আদালতের

'পাকিস্তান বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জন দেশ', রাশিয়া ও চিনের তীব্র সমালোচনা করে অবাক করা মন্তব্য বাইডেনের

T-20 বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিন শাহরুখ-সলমনের মুখোমুখি লড়াই, কাউন্টডাউন শুরু ২৩ অক্টোবরের

Share this article
click me!