ইলেকট্রিক গাড়ি কিনলে দিতে হবে না রেজিস্ট্রেশন ফী, নতুন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

  • পেট্রোল-ডিজেলের ঊর্ধ্বমুখী দামের কথা মাথায় রেখেই ই-গাড়ি ব্যবহারের বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র
  • ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর চেষ্টায় কেন্দ্র
  • সেই কারণেই ই-গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি মকুব করার সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার
  • তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত এর জন্য বাড়াতে হবে চার্জিং পরিষেবাও

Indrani Mukherjee | Published : Jun 20, 2019 9:08 AM IST / Updated: Jun 20 2019, 02:41 PM IST

পেট্রল বা ডিজেল গাড়ির তুলনায় ইলেকট্রিক গাড়ি অনেকটাই দূষণমুক্ত। সেইসঙ্গে পেট্রোল ও ডিজেলের লাগাম-ছাড়া দামের কথা মাথায় রেখে এক নয়া সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, এবার থেকে ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে আর লাগবে না রেজিস্ট্রেশন ফি। তাই যাঁরা গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি অনবদ্য সিদ্ধান্ত। এর ফলে যে ক্রেতাদেরই লাভ হবে সেকথা বলাই বাহুল্য। 

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবহন ও সড়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনে (১৯৮৯)-এর একটি সংশোধনী খসড়া পেশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে কোনও ইলেকট্রনিক যান কিনলে ক্রেতাদের আর রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না। শুধু তাই নয়, রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরনের ক্ষেত্রেও মুকুব করা হল ফি। এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে যেকোনও রকমের ইলেকট্রিক যানের ক্ষেত্রে ।

বাড়ছে মৃত্যু মিছিল, ভোজবিলাসে মত্ত বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী

প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের মধ্যে তিন চাকা এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দু-চাকার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর লক্ষ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশেই রেজিস্ট্রেশন ফী মুকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। সাম্প্রতিককালে গাড়ির বিক্রিতে যেভাবে ভাটা পড়েছে, সেই অবস্থায় বিক্রি বাড়ানোর জন্যই যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথায়, মেট্রো শহরগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ই-গাড়ির চার্জিং পয়েন্ট খুবই কম। তাই বিক্রি বাড়ানোই যদি লক্ষ্য হয় তাহলে এই গাড়ি চার্জিং পরিষেবার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন, বলে মত বিশেষজ্ঞদের।  

Share this article
click me!