শচীনের বদলে শিক্ষামন্ত্রীর ওপর আস্থা হাইকমান্ডের, রাজস্থানের নতুন প্রদেশ সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতসারা

  • রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়ালেন শচীন পাইলট
  • প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদও হারালেন
  • তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হলেন  গোবিন্দ সিং দোতসারা
  • সেবা দল ও যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদেও রদবদল

Asianet News Bangla | Published : Jul 14, 2020 10:45 AM IST / Updated: Jul 14 2020, 05:23 PM IST

করোনা সংকটের মাঝেই রাজস্থানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বর্তমান। আর এর মধ্যেই দলের যুব নেতা শচীন পাইলটকে বিদ্রোহের শাস্তি দিল কংগ্রেস। উপ মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রদেশ সভাপতির পদটিও কেড়ে নেওয়া হল শচীন পাইলটের থেকে। তাঁর জায়গায় রাজস্থানে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল গোবিন্দ সিং দোতসারাকে। যিনি আবার গেহলট মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। 

এদিকে শচীনের সমর্থনে বিদ্রোহে যোগ দেওয়ায় পদ হারালেন রাজস্থান মন্ত্রিসভার আরও ২ মন্ত্রীও। পর্যটন মন্ত্রী বিশ্বেন্দ্র সিং ও খাদ্যমন্ত্রী রমেশ মীনাকেও তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। এর পাশাপাশি কোপ পড়েছে সেবা দলের রাজ্য সবাপতি রাকেশ পারিক ও যুব কংগ্রেসের রাজ্য সবাপতি মুকেশ ভাখরের উপরেও। তাঁদের জায়গায় হেংসিংহ শেখাওয়াতকে সেবা দলের এবং গণেশ ঘোঘারাকে যুব কংগ্রেসের রাজ্যসভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: তেহরানকে এবার কাছে টানল বেজিং, চাবাহার রেল প্রকল্প থেকে ভারতকে সরিয়ে দিল ইরান

কংগ্রেসের নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতসারা বর্তমানে রাজস্থান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সিকার জেলার লক্ষ্মণগড়ের বিধায়ক। দোতসারা ১৯৮১ সাল থেকে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। স্নাতক হওয়ার পরে তিনি আইন নিয়েও পড়াশোনা করেছেন। ২০০৫  সালে, দোতসারা প্রথম পার পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে তিনি সিকার লক্ষ্মণগড় পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান নির্বাচিত হন। তারপরে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। যদিও এই নির্বাচনে মাত্র ৩৪  ভোটের ব্যবধানে  জিতেছিলেন গোবিন্দ সিং। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ এবং ২০১৮  সালের নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন দোতসারা। তাঁর স্ত্রী সরকার স্কুলের শিক্ষিকা বলে জানা গেছে। 

আরও পড়ুন: প্রবাদ সত্যি হল বানভাসি কাজিরাঙায়, প্রাণ বাঁচাতে ছাগলের ঘরে আশ্রয় নিল বাঘ, দেখুন সেই ভিডিও

এদিকে রাজস্থান যুব কংগ্রেসের নবনিযুক্ত সভাপতি গণেশ ঘোঘারা ৩৫ বছর বয়সে প্রথমবার ডুঙ্গারপুর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ঘোঘারা পেশায় কৃষক। ২০ বছর বয়সে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে পা রাখেন। তবে যুব কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর আগে তিনি জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। অশোক তন্দনার ঘনিষ্ঠ হিসাবেই রাজস্থআনের রাজনীতিতে পরিচিত গণেশ ঘোঘারা। সতীরামপুর থেকে তিনি দু'বার সরপঞ্চ হয়েছেন। বর্তমানে এই দায়িত্বে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

Share this article
click me!