গুজরাটে ২৪ বছর ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০১৭ সালে কংগ্রেস জোর টক্কর দিয়েছিল। কিন্তু এবার তৃতীয় শক্তি হিসেবে আসরে আম আদমি পার্টি। এই অবস্থায় এক নজরে দেখে নিন গুজরাট বিধানসভার চালচিত্র।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে সপ্তমবার ক্ষমতা দখলে মরিয়া বিজেপি। গত নির্বাচন পর্যন্ত কংগ্রেসই ছিল বিজেপির প্রধান ও মূল প্রতিপক্ষ। কিন্তু এবার তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এদিন নির্বাচন কমিশন গুজরাট বিধানসভা ১৮২টি আসনের ভোটের সূচি ঘোষণা করেছে। এক নজরে আসুন দেখেনি গুজরাটের চালচিত্র।
কেশুভাই প্যাটেলের হাত ধরে ১৯৯৮ সালে গুজরাটের মসনদে এসেছিল বিজেপি। তারপর থেকে টানা এপর্যন্ত বিজেপির হাতেই রয়েছে গুজরাট বিধানসভার রাশ। কেশুভাই প্যাটেলকে সরিয়ে পর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। তারপর টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ করেন। তারপর তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে দিল্লি আসলে ক্ষমতা যায় আনন্দীবেন প্যাটেল, বিজয় রুপানির হাতে। বর্তমানে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল।
বিজেপির গড় হিসেবে পরিচিত গুজরাট। দীর্ঘ দিন ধরেই এই রাজ্যের শাসনক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে বিজেপি। এই অবস্থায় সপ্তমবার ক্ষমতায় ফেরার জন্য মরিয়া বিজেপি। পাশাপাশি চলতি নির্বাচনেও গুজরাটে বিজেপির মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী ম্যাজিক যাতে এবারও কাজ করে তারজন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করছিল দলের নেতা ও কর্মীরা। গত নির্বাচন অর্থাৎ মোদীই মুখ ছিলেন। উল্টো দিকে ছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সমীকরণ এবার অনেকটাই বদলে গেছে। দলটির সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাহুল সরাসরি সামনে না এলেও কংগ্রেস কর্মীদের মতে তিনি দলের মুখ। কিন্তু রাহুল এখনও গুজরাটে তেমনভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেননি। কংগ্রেসও যে সেভাবে নির্বাচনে রয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের থেকে শত যোজন এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জনসভা করেছেন।
যাইহোক ২০১৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস কিন্তু বিজেপিকে জোর টক্কর দিয়েছিল। যা ফলাফল দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বেড়েছিল। কারণ তার আগের নির্বাচনে কংগ্রেসের দখলে ছিল ৬১টি আসন। আর বিজেপির দখলে ছিল ১১৫টি আসন। তবে বর্তমানে গুজরাট বিধানসভায় বিজেপির দখলে রয়েছে ১১১ জন বিধায়ক। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১২ বেড়েছে। আর কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে গিয়ে হয়েছে ৬২।
গুজরাট বিধানসভার বর্তমান ছবি
গুজরাট বিধানসভার দিন ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কনিশনার রাজীব কুমার। গুজরাটে ভোটারের সংখ্যা ৪য়৯ কোটি। গ্রামীণ এলাকায় ৩৪ হাজার সহ ৫১ হাজার ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। গুজরাটে ভোট গ্রহণ হবে দুটি দফায়। ১ ও ৫ ডিসেম্বর। ভোট গণনা হবে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে ৮ ডিসেম্বর। প্রথম দফার বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৫ নভেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১০ নভেম্বর।প্রথম দফার প্রার্থীরা ১৪ নভেম্বর ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থীরা ১৭ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ১৭ ও ২১ নভেম্বর। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।