গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। একাধিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি। অনেকটাই পিছিয়ে কংগ্রেস।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। একের পর এক ভোট সমীক্ষাও সামনে আসছে। আসুন এবার দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ - সিফোর-এর প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা। এই সমীক্ষা রিপোর্টে রাজ্যের সমস্ত নির্বাচনী এলাকগুলির ওপর ফোকাস করা হয়েছে। তাতেই উঠে এসেছে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় স্পষ্ট ইঙ্গিত এখনই যদি নির্বাচন হয় তাহলে নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন বিজেপি গুণে গুণে দশ গোল দেবে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে।
প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষার ফল
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিজেপি এখনও পর্যন্ত ৪৮ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির তুলনায়। এখনই যদি নির্বাচন হয় তাহলে বিজেপি ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় ১৩৩-১৪৪টি আসন পেতে পারে। যার অর্থ গেরুয়া শিবিরের ক্ষমতায় আসার পথ খুবই মসৃণ। অন্যদিকে কংগ্রেস ও আপ ভোট পাবে ৩১ ও ১৬ শতাংশ। কংগ্রেস পেতে পারেন ২৮-৩৭টি আসন। আর আপ গুজরাটে খাতা খুলতে পারে। পেতে পারে ৫-১৪টি আসন।
প্যাটেল ভোট কংগ্রেসের ফ্যাক্টর
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে কংগ্রেসের ভোটের হার কমে যাওয়ার মূল কারণ অবশ্যই শক্তিশালী নেতৃত্বের অভাব। অধিকাংশ কংগ্রেস নেতাই বর্তমানে রাজ্যের বাইরে রয়েছে। রাজ্যস্তরে দলীয় সংগন ভেঙে পড়েছে। কংগ্রসের মুখ হিসেবে পরিচিত হার্দিক প্যাটেলও বিজেপিতে যোগ করেছে। হার্দিক প্যাটেলের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের যে বনিবনা হয়নি তাও স্পষ্ট গুজরাটের মানুষের কাছে। হার্দিক প্যাটেল কংগ্রেস ছাড়ায় প্যাটল ভোট বিজেপির দিকে যাবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে আপও কংগ্রেস ভোটে ভাগ বসাবে। বিজেপির কোনও ভোট আপ কাটবে না বলেও ধরা পড়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে।
AAP ফ্যাক্টর
আপ কংগ্রেস ভোটারদের বেশি প্রভাবিত করবে। ২০১৭ সালের তুলনায় আপের ভোট প্রায় ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭ সালে ২১ শতাংশ ছিল আপ ভোট। কংগ্রসের কারণে বিরোধীদলগুলি একজোট হতে পারেনি। কংগ্রেসের ভোট কেটে আপ শক্তিশালী হবে বলেও মনে করছে সক্মীক্ষা রিপোর্টে। অন্যদিকে আপ বিনামূল্যের প্রতিশ্রুতি কিছুটা হলেও প্রভাবিত করবে ভোটারদের। সৌরাষ্ট্র ও সুরাটে আপের প্রভাবও বেশি।
মোদীর উন্নয়ন কাজ
গুজরাটের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কারণে রাজ্যে বিজেপির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল। ভোটাররাও বিজেপিকে ছাড়তে নারাজ। যদিও গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোল, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি, রাজ্যে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে । অন্যদিকে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে দলিত, আদিবাসী,ঠাকুর ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। কিন্তু ভোটাররা এগুলি সমাধানের জন্য এখনও কংগ্রেসকে বিশ্বাস করে না। কিন্তু আপ যে পরিমাণ বিধায়ক বিধানসভায় পাঠাতে পারবে তা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে না। পাশাপাশি নির্ণায়ক ভূমিকাও তারা নিতে পারবে না।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবারের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ১৮২টি কেন্দ্রে প্রায় ১ ,৮২,৫৫৭ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকে ১০০০ ভোটারকে বাছা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পরই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বুথ পর্যায়ে নেমে সমীক্ষা করা হয়েছে।
গণতন্ত্রকে রক্ষার আবেদন মমতার , মিডিয়া ট্রালায় নিয়ে ক্ষোভ আইন বিশ্ববিদ্যালের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে
‘স্ট্যাচু অব ইউনিটির সামনে পালিত হবে "রাষ্ট্রীয় একতা দিবস" , উৎসহ দিচ্ছেন মোদী’
হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ, কলকাতায় মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর