হাথরসের ২৩৬ জন বৌদ্ধ হয়ে গেলেন, আচমকা কেন তাঁরা এই ধর্ম পরিবর্তন করলেন

  • হাথরসের ৫০টি পরিবার বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন 
  • গত ১৪ অক্টোবর ধর্মান্তরিত হন 
  • বৈষম্য মেনে নিতে পারছিলে না 
  • সমাজসেবায় ব্রতী হবেন বলে জানিয়েছেন 

Asianet News Bangla | Published : Oct 21, 2020 3:40 PM IST

বৈষম্য আর সহ্য করতে পারল না। তাই হাথরসের ২২টি বাল্মিকী পরিবারের ২৩৬ জন সদস্য গাজিয়াবাদের কেরোরা গ্রামে গিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছে। রাজরত্ন আম্বেডকরের অধীনেই তাঁর বৌদ্ধ ধর্ম দীক্ষিত হয়েছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন এর জন্য তাঁদের কেউ জোর করেনি। আর এর জন্য কোনও টাকাপয়সা তাঁদের থেকে নেওয়া হয়নি। গত ১৪ অক্টোবর বাল্মিকী পরিবারের সদস্যরা বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষীত হন। আগামী দিনে তাঁরা সমাজসেবার কাজে ব্রতী হবেন বলেও জানিয়েছেন। 

বাবা না ছেলে, কার জন্য জনসভাতে মেজাজ হারালেন নীতিশ কুমার, দেখে নিনি কী বললেন তিনি ...

তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধতে চাই, তিন বছর পর কলকাতায় পা রেখে বললেন বিমল গুরুং .

দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৬৪ বছর আগে ঠিক এই দিনটিতেই রাজরত্নের এক দাদু প্রায় তিন লক্ষ অনুগামীকে নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। বর্তমানে ধর্মান্তরিত হওয়া বাল্মিকী সম্প্রদায়ের মানুষরা জানিয়েছেন তাঁরা সামাজিক বৈষম্যের কারণে ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। তাঁদের গ্রামে সবমিলিয়ে ৯ হাজার মানুষ বাস করেন। সেখানে চৌহান সম্প্রদায়ের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। আর ২ হাজার বাল্মিকী সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। কিন্তু চৌহানরা উচ্চ বর্ণের হওয়ার কারণে তাঁদের ওপর অত্যাচার চালাত বলেও অভিযোগ। আর হাথরসের ঘটনা তাঁদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। একটি নিম্ম বর্ণের তরুণীকে চার উচ্চবর্ণের তরুণ ধর্ষণ করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন। আর সেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে রীতিমত তৎপর ছিল যোদী আদিত্যনাথের প্রশাসন। যেভাবে রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতা নিহত তরুণীর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হল তা মেনেনিতে পারেননি তাঁরা। যোগী প্রশাসনের ওপর তাঁরা আস্থা হারিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তাই বিকল্প পথ হিসেবে তাঁরা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছেন। 

গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে বাজরার ক্ষেতে এক ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ১৫ দিন পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উচ্চ বর্ণের চার তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যোগী পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার একাধিক অভিযোগ ওঠায় বর্তমানে হাথরসকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তবে হাথরসের ঘনটা নিয়ে একাধিক বিক্ষোভ আর আর প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে। 

Share this article
click me!