হাথরসকাণ্ডে আবরও বিড়ম্বনায় পড়তে হল সিবিআই আধিকারিকদের। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় উধাও হয়ে গেছে। হাথরসের নির্যাতিতাকে প্রথম জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে অবস্থা খারাপ হওয়ায় নির্যাতিতাকে আলিগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তে নেমে জেলা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেদ হাতে পেলেন না তদন্তকারী আধিকারিক।
তদন্তের স্বার্থে তথ্যের জন্য জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা খোঁজ করেন ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ তাঁদের কাছে নেই। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে সাধারণত তাঁরা সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করেন না। পুলিশ বা প্রশাসনের তরফ থেকে ফুটেজ রাখতে বলা হলে তবে তা সংরক্ষণ করা হয়। না হলে সাত দিন অন্তর সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলে সেই চিপে নতুন রেকর্ড করা হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে গত একমাসের মধ্যে হাথরসের পুলিশ বা প্রশাসন কারও কাছ থেকেই এজাতীয় কোনও নির্দেশ বা অনুরোধ আসেনি। তাই তারা সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করেননি।
সিবিআই সূত্রের খবর, ১৪ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতাকে উদ্ধারের পর প্রথমেই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই দিনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাশাপাশি সিবিআই আধিকারিকরা দেখতে চেয়েছিলেন কী অবস্থায় নির্যাতিতা দলিত তরুণীকে আলিগড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিনের ফুটেজও হাতে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রথম থেকেই হাথরসকাণ্ডে অভিযুক্তদের আড়াল করা চেষ্টা করতে এমন অভিযোগ উঠেছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পুলিস প্রথম থেকেই উচ্চপর্ণের চার অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও দাবি করেছেন সমালোচকরা। সেই অভিযোগকে আরও শক্তিশালী করল সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা। কারণ স্থানীয় পুলিশ বা প্রশাসন কেউই সামান্যমত গুরুত্ব দেননি সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণে। একটি অংশ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি রাতের অন্ধকারে জ্বালিয়ে দিয়েছিল পুলিশ।
এক বছরেরও বেশি সময় আটকে শৌচাগারে, গৃহবধূকে উদ্ধারের পর উঠছে নানা প্রশ্ন ...
চিন আর পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে তৈরি হচ্ছে জোজিলা সুড়ঙ্গ, সারা বছরই করবে যান চলাচল .
মহামারিকালে 'বিষফোঁড়া' বায়ু দূষণ, রাজধানীতে আবারও চালু হতে চলেছে নতুন গাড়ি নীতি ..
অন্যদিকে সিবিআই জানিয়েছে কেউই তদন্তের উর্ধ্বে নয়। আর সেই কারণে নির্যাতিতার ভাই আর বাবারে দফায় দফায় জেলা করা হয়েছে। একটি সূত্র বলছেন দুজনকে প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরা করেছে তদন্তকারীরা। দিন দুয়েক আগে ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করে সিবিআই আধিকারিকরা। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে নিহত দলিত নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ধৃত চার অভিযুক্তকে আলিগড় সংশোধনাগার থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।