সমস্যায় জর্জরিত দুই বন্ধুই, ৪০ মিনিট ধরে কী কথা হল মোদী-ট্রাম্পের

সোমবারই ডোনাল্ড ট্রাম্প সওয়াল করেছিলেন জি৭ গোষ্ঠীতে ভারতকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য

তারপরদিনই বন্ধু মোদীকে ফোন করলেন তিনি

জি-৭'এর পরের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানালেন মোদীকে

আরও অনেকগুলি বিষয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার

সোমবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন ভারত, রাশিয়া-সহ বর্তমান বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি চান জি-৭ গোষ্ঠীর সম্প্রসারন করা হোক। একদিন পরেই মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর পরবর্তী বৈঠক হবে মার্কিন মুলুকেই। সেখানে নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানালেন 'বন্ধু' ট্রাম্প। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বা নভেম্বর মাসে মার্কিন মুলুকে এই সম্মেলন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে জি-৭ গোষ্ঠীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া রয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা এবং জাপান। ভারত সদস্য এই গোষ্ঠীর বৃহত্তক সংস্করণ জি-২০'র। তবে সোমবার ট্রাম্প বলেন, এই গোষ্ঠী 'পুরনো' হয়ে গিয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়ার মতো অর্থনীতিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলিকে এই গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন এটা মার্কিন রাষ্ট্রপতির চিনের বিরুদ্ধে মিত্রশক্তিদের একত্রিত করার প্রয়াস।  

Latest Videos

জানা গিয়েছে এদিন রাতে প্রায় ৪০ মিনিটের কথা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার। বর্তমানে দুই নেতাই বেশ কিছু সমস্যায় জর্জরিত। কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড-এর মৃত্যুর পর প্রতিবাদে আগুন জ্বলছে আমেরিকায়। অন্যদিকে লাদাখে সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ভারত। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে এই দুই বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। সেই সঙ্গে দুই দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়েও হয় দুই বন্ধুর আলোচনা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় সংস্কারের বিষয়েও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। দুজনেই ডাব্লুএইচও-র সংস্কার চান। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি দিয়েছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী সংস্থার ভিতরে থেকেই সংস্কারের জন্য ডাব্লুএইচও-র উপর চাপ দিতে চান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এদিন দাবি করা হয়েছে এই ৪০ মিনিটের কথোপকথন বলে দিচ্ছে করোনা পরবর্তী দুনিয়াতেও মার্কিন-ভারত সম্পর্ক ঐতিহাসিক উচ্চতায় রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি তা সামাল দিতে সফল হবে বলে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছেন - এমনটা এর আগে দেখা যায়নি। আবার ভারতের সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি, এমনটাও অভূতপূর্ব। দুই নেতাই দুই দেশের সম্পর্কটিকে অন্য স্তরে তুলে নিয়ে গিয়েছেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
ছয় Bidhan Sabha কেন্দ্রের ছটিতেই এগিয়ে TMC, আবির খেলায় মাতলেন গঙ্গাসাগরের তৃণমূল কর্মীসমর্থকরা
ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে শিক্ষকদের জোরদার বিক্ষোভ! দাবি সঠিক তদন্তের! | Bengal Tab Scam
'কয়লার ৭৫ ভাগ তৃণমূলের (TMC) পকেটে যায়' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)