ISRO S Somnath: সবকিছু ঠিক থাকলে স্বাধীনতার ৭৫ বছরেই ২টি গুরুত্বপূর্ণ উৎক্ষেপণ, আর কি বললেন ইসরো চিফ

ইসরোর নয়া চিফ-এর কথায় এই মুহূর্তে মহাকাশ গবেষণার ২ টি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। একটি বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা এবং বাজারের কথা ভেবে একটা নির্দিষ্ট দিকে নিজেদের উন্নত করা এবং অন্যটি হল কতভাবে একটা একটা নতুন জিনিসকে নিজের ছাতায় তলায় আনা যায়- তা নিয়ে কাজ করে যাওয়া। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 13, 2022 7:29 AM IST / Updated: Mar 28 2022, 12:26 PM IST

স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে গর্ব করার মতো জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে ইসরো (ISRO)। যার জন্য এই বছর ইসরোর ক্যালেন্ডারে রয়েছে এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উৎক্ষেপণ যা মহাকাশ গবেষণায় ভারতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে (Exclusive Interview of New ISRO Chief S Somnath)। এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের ম্যানেজিং এডিটর মনোজ কুমার দাস-কে (Manoj Kumar Das, Managing Editor, Asianet News Network) দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর নয়া নির্বাচিত চিফ এস সোমনাথ। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ উৎক্ষেপণের মধ্যে রয়েছে লো-আর্থ অরবিটের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ এবং স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (RLV)। 

ইসরোর নতুন চিফ এস সোমনাথ জানিয়েছেন যে, বিশ্ব জুড়ে মহাকাশ গবেষণায় কম খরচের লঞ্চ ভেহিকল একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিয়ে বহু কাজ যেমন হচ্ছে, তেমনি প্রচুর প্রাইভেট সংস্থাও তৈরি হয়েছে যারা এই লো-কস্ট লঞ্চ ভেহিকেল পরিষেবা দিতে তৈরি। ফলে প্রতিযোগিতার বাজার বাড়ছে। ইসরো নিজেই এই ধরনের প্রচেষ্টায় ব্রতী হয়েছে। কোভিড অতিমারির জন্য কাজে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে, তাঁর মতে ইসরো আশাবাদী যে খুব শিগরির লো-অরবিট কৃত্রিম উপগ্রহের ল্যান্ডিং-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের বিষয়টি করে ফেলতে পারা যাবে। নাহলেও আরএলভি-র গিয়ার মেকানিজমের পরীক্ষামূলক বিষয়গুলি খুব দ্রুত   সম্পূর্ণ করে নেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এস সোমনাথ।

তিনি সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন যে,  লো-অরবিট কৃত্রিম উপগ্রহটি আসলে দুটো স্থায়ী ডানা দিয়ে তৈরি এবং এটা একটা সাধারণ এয়ারক্রাফটের মতোই ল্যান্ডিং করতে সক্ষম। এর উপরে প্রচুরবার পরীক্ষা এবং নিরিক্ষণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এস সোমনাথ। ল্যান্ডিং নিয়ে এর আসল পরীক্ষা এবার শুরু হবে এবং যদি এর পরীক্ষামূলক ল্যান্ডিং-এর ফল ভালো আসে তাহলে একে চলতি বছরের শেষেই একে মহাকাশে পাঠানো হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এস সোমনাথ। এমনকী এসএসএলভি-র নকসা এবং পরীক্ষাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

ইসরোর নয়া চিফ-এর কথায় এই মুহূর্তে মহাকাশ গবেষণার ২ টি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। একটি বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা এবং বাজারের কথা ভেবে একটা নির্দিষ্ট দিকে নিজেদের উন্নত করা এবং অন্যটি হল কতভাবে একটা একটা নতুন জিনিসকে নিজের ছাতায় তলায় আনা যায়- তা নিয়ে কাজ করে যাওয়া। 

আর এই সব কারণের জন্য আরএলভি-কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। সোমনাথের মতে, আরএলভি-র সাফল্য মহাকাশ গবেষণাকে অনেকটা দূর এগিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে মহাকাশে যে কোনও উৎক্ষেপণে খরচের কথা ভেবে এমন রকেটের সন্ধান করা হচ্ছে যা অন্তত ১৫বার ব্যবহার করা যাবে। খরচ কমে যাওয়া মানে উৎক্ষেপণের সংখ্যা বাড়বে এবং এর ফায়দা তুলতে পারবে মানব সভ্যতা।

 

Read more Articles on
Share this article
click me!