সামরিক সরবরাহ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও চুক্তি ভারতের, লক্ষ্য কি চিনের উপর চাপ বাড়ানো

দুই দেশই ব্যবহার করতে পারবে অপরের সামরিক ঘাঁটি

এমনই একটি চুক্তি সাক্ষর করল ভারত-অস্ট্রেলিয়া

এতে চিনের উপর চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল

আরো বেশ কিছু বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হল দুই দেশ

amartya lahiri | Published : Jun 4, 2020 2:00 PM IST / Updated: Jun 05 2020, 12:40 PM IST

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে একটি অনলাইন দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরই ভারত ও অস্ট্রেলিয়া লজিস্টিক সংক্রান্ত সহায়তার জন্য একে অপরের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে এই মিউচুয়াল লজিস্টিক সাপোর্ট চুক্তি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সামগ্রিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর সুবিধার্থে সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ও পুনর্সরবরাহের জন্য একে অপরের ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। ইতিমধ্যেই ভারত একই ধরণের চুক্তি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং সিঙ্গাপুরের সঙ্গে। এবার এই তালিকায় যুক্ত হল অস্ট্রেলিয়ার নাম-ও।

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার এই সামরিক লডিস্টিক সংক্রান্ত চুক্তিতে চিনের উপর চাপ বাড়তে পারে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আকসাই চিন এলাকায় যেমন ভারতের সঙ্গে চিনের দ্বন্দ্ব চলছে, তেমনই দক্ষিণ চিন সাগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে চিন ও অস্ট্রেলিয়ার মাধ্যমে। বাণিজ্য ও সমুদ্র যাত্রার স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এবং ভূ-রাজনৈতিকভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রহ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। ১৯৮০ সাল থেকেই অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত মহাসাগরে অপারেশন গেটওয়ে নামে নজরদারি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের পি-৩ ওরাইয়ন সামুদ্রিক বিমানগুলিকে মৌখিকভাবে চ্যালেঞ্জ করেছে চিন। এই অঞ্চলে আমেরিকার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রও অস্ট্রেলিয়া। তাদের মাধ্যমে ভারতও চিনের উপর চাপ বাড়াতে পারে।

এছাড়া, এদিন সাইবার এবং সাইবার-সক্ষম গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, খনি ও খনিজ পদার্থ, সামরিক প্রযুক্তি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং জল সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সেইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক সুরক্ষার চ্যালেঞ্জ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কার এবং করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলার কৌশলসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

দুই দেশই মেনে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদ এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করেছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় হিংসাত্মক চরমপন্থা রোধ, সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক সহায়তা ব্যাহত করা এবং সন্ত্রাসে জড়িতদের বিচার-এর মতো পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছে।

 

Share this article
click me!