একদিকে নিজেরা নয়াদিল্লির দূতাবাসে থেকে অবৈধ কাজ করছে
অন্যদিকে ইসলামাবাদে ভারতীয় কর্তাদের বৈধ কূটনৈতিক কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি চার্জ দ্য' অ্যাফেয়ার্স-কে ডেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল দিল্লি
সাত দিনের মধ্যে পাক দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা অর্ধেক করতে বলা হয়েছে
নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে এত কর্মী রাখা যাবে না। তাদের আচার আচরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। মঙ্গলবার দিল্লিতে, পাকিস্তানের চার্জ দ্য’ অ্যাফেয়ার্স সৈয়দ হায়দার শাহ-কে তলব করে সাফ জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের কর্তারা সৈয়দ হায়দার শাহ-কে জানান, পাক হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কাজ কারবার নিয়ে ভারত বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারপরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। তাই, এবার কর্মী সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
নয়াদিল্লির পাক হাই কমিশনের কর্মীসংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে ফেলার জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনেও কর্মী সংখ্যা হ্রাস করা হবে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ পাক হাইকমিশনের অনেক কর্মীই 'গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগে রক্ষা করে চলেছে'। চলতি বছরের ৩১ মে এই দুই পাকিস্তানি ভিসা কর্মকর্তার গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়ার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে ১৫ জুন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের দু'জন কর্মকর্তাকে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার মামলায় আটক করে। ভারতের এর তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পরও ১০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে তাদের আটকে রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ইসলামাবাদ। ওই ১০ ঘন্টা তাদের নোংরা জল ছাড়া কিছু খেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভারতীয় কর্তারা। এই হয়রানি নিয়েও পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মতে একদিকে দিল্লিতে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা হাই কমিশনের কর্তাদের মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কাজে লিপ্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে ইসলামাবাদে ভারতীয় কর্মকর্তাদের তাদের বৈধ কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভয় দেখিয়ে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।