ক্রমই উর্দ্ধমুখী দেশে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। বৃহস্পতিবার রেকর্ড গড়ে ভারতে সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন ৬৯ লক্ষের বেশি মানুষ। শুক্রবারও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হন না। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৯৮ জন। ফলে দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ লক্ষ ৫ হাজার ৮২৪।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে চলতি অগস্টের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে করোনা পজিটিভ কেস ১২ লক্ষ ছাড়িয়েছে।মাস শেষ হতে আরও ৯ দিন বাকি রয়েছে। রোজ যে গতিতে পজিটিভ কেস বাড়ছে, তাতে আগস্টের শেষে সংখ্যাটা ১৭ লক্ষে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে চলতি অগস্টেই সবথেকে বেশি সংক্রমণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। চলতি মাসে বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে থাকা আমেরিকা ও ব্রাজিলেও থেকেও দৈনিক আক্রান্তে এগিয়ে রয়েছে ভারত।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টা. করোনা প্রাণ কেড়েছে ৯৮৩ জনের। ফলে এদেশে কোভিড ১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৮৪৯ তে পৌঁছেছে। যদিও এসবের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। দেশে করোনা জয়ীর সংখ্যা বর্তমানে ২১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৪৭। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯২ হাজার ২৮। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬২ হাজারেরও বেশি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার গোটা দেশে ৮ লক্ষ ৫ হাজার ৯৮৫ কোভিড টেস্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৩৭ টি নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত এক সপ্তাহ ধরে এই হার রয়েছে নয় শতাংশের কম। যা বেশ স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ হার ৮.৫৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ হাজার ৩৯৬ ও ৪৫ হাজার ৩২৩ জন। অর্থাৎ এক দিনে আক্রান্ত বৃদ্ধির নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে ভারতের এগিয়ে থাকার পরিসংখ্যান এদিনও অব্যাহত। বিশ্বে করোনা সংক্রমণে প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে বর্তমানে মোট আক্রান্ত ৫৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৩৫ লক্ষ। তারপরেই রয়েছে ভারত। মৃত্যর নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। যদিও অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম।
কোভিড আক্রান্ত ও মৃত্যু দু’টি তালিকাতেই দেশের মধ্যে এখনও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্ত ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত সাড়ে তিন লক্ষ ছাড়িয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশেও মোট আক্রান্ত তিন লক্ষ পার করেছে । চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে সংখ্যাটা প্রায় আ়ড়াই লক্ষ। এর পর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি। যদিও জুলাই থেকেই বেশ লাগাম পড়েছে রাজধানীর সংক্রমণ বৃদ্ধিতে।