গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরে যাক চিন, ১২তম সামরিক বৈঠকের আগেই এটাই দাবি ভারতের

Published : Jul 26, 2021, 09:23 PM IST
গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরে যাক চিন, ১২তম  সামরিক বৈঠকের আগেই এটাই দাবি ভারতের

সংক্ষিপ্ত

১০ দিনের মধ্যেই ১২তম সামরিক বৈঠকে বসতে পারে ভারত আর চিন। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে শান্তি আর প্রশান্ত চাইছে ভারত। তবে গোগরা আর হটস্প্রিং থেকে চিন যেন সেনা সরিয়ে নেয়। 

ভারত-চিন দ্বিতীয় কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক আগামী দশ দিনের মধ্যেই হতে পারে। তেমনই জানিয়েছেন একটি সূত্র। তবে ভরত আশা করছে চিন হটস্প্রিং আর গোগরা এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। এই এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দুটি দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে ভারত। 

পাঁচ দিনের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মঙ্গলেই

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক অধিকর্তা জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ২০২০ সালের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অনেকটাই সময় লাগবে। কারণ দুই দেশের একে অপরের উপর আস্থার বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আর সেই কারণেই আগের অবস্থায় পৌঁছাতে সময় লাগছে। বৈঠকের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ১২তম সামিরক বৈঠক নিয়ে একটি আলোচনা হতে পারে বলেও দানিয়েছেন তিনি। 

কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক আরও দানিয়েছেন হট স্প্রিং আর গোগরা বিষয়ে দুটি দেশ দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে। তিনি আরও বলেছেন এই এলাকায় ৩০-৩৫ জন জওয়ানের একটি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে। সৈন্য সংখ্যা কমানো হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। 

ভূমিধসে চিরঘুমের দেশে KBCর প্রতিযোগী, অমিতাভের সঙ্গে তোলা ছবি এখন ভাইরাল

চলতে বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। প্যাংগং তসো এলাকার উত্তর ও দক্ষিণ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চিনারা এই এলাকায় স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করেছিল। কিন্তু সেনা সরিয়ে নেওয়ার পরেই সেগুলি ভেঙে ফলতে বাধ্য হয়েছে। সেনা বাহিনীর এক প্রবীণ কর্তার কথায় যখন তাঁরা পরিকাঠামো ভেঙে ফেলতে পেরেছে তখন হটস্প্রিং আর গোগরা এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতেও দ্বিধাগ্রস্ত হবে না। 

মুখে স্লোগান হাতে ট্র্যাক্টরের স্টিয়ারিং, রাহুল গান্ধীর সংসদ যাত্রার ভিডিওটি দেখুন

ডেমচোক আর দেপসাং উপক্যতার কথা জানতে চাইলে সেনা বাহিনী সূত্রে বলা হয়েছে ভারত প্রথম থেকেই প্রতিটি বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি উত্থাপন করে আসছিল। দেপসাং এলাকার তিনটি পয়েন্টে দুই দেশের সেনা বাহিনী দীর্ঘ দিন ধরেই অবস্থান করে রয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় টহলও বন্ধ রয়েছে। চলতি বছর এপ্রিলে চুষুলে একাদশতম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেও বিষয়গুলি উত্থাপন করা হয়েছিল। 

ফেব্রুয়ারি ডিসেঞ্জজমেন্ট প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার পরে দুই দিনের মধ্যেই দশম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।ভারত-চিন দুটি দেশই সীমান্তে শান্তি আর প্রশান্তি বজায় রাখার বিষয়ে এক মত হয়েছিল। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারত আর চিনের মধ্যে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অস্থিরতা রয়েছে। গত বছর ১৫ জুন গ্যালওয়ানে দুই দেশের সেনা জওয়ানরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ভারতে ২০ জন জওয়ানকে হারিয়েছিল। 

PREV
click me!

Recommended Stories

DA মামলার রায় এই ডিসেম্বরেই? নাকি অপেক্ষা জানুয়ারি পর্যন্ত, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বড় আপডেট
জেনে নিন আজ কোন শহরে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত