তিনি বলেন, বিশ্ব আজ শিক্ষা নিয়েছে যে নিরাপত্তা মানে শুধু শারীরিক বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নয়। এর অর্থ স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তাও।
রবিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্ব অর্থনীতির বিষয়ে G-20 দেশগুলির দায়িত্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন। এই সময় তিনি কংগ্রেস দলকেও কটূক্তি করেন। ভারতের এক বছরের G20 সভাপতিত্বে হায়দরাবাদে তার ভাষণ চলাকালীন, তিনি উপস্থিত লোকদের বলেন G20-এর প্রধান উদ্বেগ হবে বিশ্ব অর্থনীতিকে ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সরকার পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি থেকে গ্রাহকদের যতটা সম্ভব স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব আজ শিক্ষা নিয়েছে যে নিরাপত্তা মানে শুধু শারীরিক বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নয়। এর অর্থ স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তাও। তাই বিশ্ব অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এই বছর, G20 প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ছাড়াও ১৫টি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি গোটা বিশ্বে গভীর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলেছে। মহামারী চলাকালীন উন্নত দেশগুলি কেবল নিজেদের সম্পর্কে ভেবেছিল। জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে ভারত ছাড়া খুব কম দেশই বাকি বিশ্বের কথা চিন্তা করে।
বিদেশমন্ত্রী বলেন, ২৬/১১-এ আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম। উরি এবং বালাকোটে আমরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম? আমরা উচ্চ উচ্চতায় ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছি। করোনার হুমকির মধ্যেও দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী। আমি আপনাকে বলতে পারি যে পুরো বিশ্ব এটি লক্ষ্য করেছে। এই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিশ্বের জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। ২০২৩ সাল জুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হবে জি ২০র বৈঠক। এর আগে শনিবার জানানো হয় শনিবার জর্জিয়েভা বলেন, সারা বিশ্বে ভারত এখন ‘উজ্জ্বল বিন্দু’। ২০২৩ সালে সারা পৃথিবীর জিডিপি-তে যাদের অংশীদারি দাঁড়াবে ১৫%। কিন্তু এ বছরে বিশ্ব অর্থনীতি শ্লথ হওয়ার সম্ভাবনা। যার মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো ঢেলে সাজানো উচিত। তাঁর কথায়, ‘‘বহু দেশে অসংখ্য মানুষ শুধু জীবনধারণের লড়াই করছেন। এর আগে জি-২০ গোষ্ঠীর নীতি তৈরির ক্ষেত্রে যে কথা বলেছিল, এখনও বলব এই পরিস্থিতিতে ওই সব মানুষকে সুরাহা দিতে সব দেশকে একসঙ্গে মিলে রফাসূত্র খুঁজতে হবে।’’