১৫ মিনিটেই করোনা-মুক্তি, মোদীর মুখ পোড়ালেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীই

১১টা থেকে ২টোর মধ্যে সূর্যের তেজ থাকে প্রখর

সেই সময় ১৫ মিনিট রোদে বসে থাকুন

তাহলেই করোনাভাইরাস টিকিটিও ছুঁতে পারবে না

মোদীর ধমকের পরও অব্যাহত করোনা টোটকা

 

amartya lahiri | Published : Mar 19, 2020 9:36 AM IST

'দুপুর ১১টা থেকে ২টোর মধ্যে ১৫ মিনিট রোদে বসে থাকুন। করোনাভাইরাস আপনার টিকিটিও ছুঁতে পারবে না'। বুধবার রাতেই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে আপত্তিজনক বা অবৈজ্ঞানিক দাবি করা বন্ধ করতে বলেছিলেন। কিন্তু, কে শোনে কার কথা? বৃহস্পতিবার সকালে খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বা জুনিয়র স্বাস্থমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবেই এমন উদ্ভট দাবি করে বসলেন। যারপর ভারতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কতটা করা যাবে তাই নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জনমানসে।  

তবে অশ্বিনী চৌবের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করাটা উচিতও নয়। এর আগে জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য গোমূত্র ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কাজেই, 'রোদে ১৫ মিনিট বসে থাকলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নতি হবে এবং করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলা যাবে' এমন কথা তিনি বলবেন না তো কে বলবে?

এদিন, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই বিজেপি নেতা বলেন, 'সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। আমরা যদি ওই সময় ১৫ মিনিট রোদে বসে থাকি তবে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বাড়বে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি হবে এবং করোনভাইরাস জাতীয় ভাইরাসকে মেরে ফেলা যাবে'।

প্রসঙ্গত যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে সেই একই মন্ত্রক গত সোমবার করোনাভাইরাস-এর 'প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা'-র এক তিনপৃষ্ঠার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তিন পাতার কোথাও ভিটামিন ডি বা সূর্যালোকের কথা লেখা নেই। তবে সূর্যালোক থেকে মানবদেহ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পায় এটা ঠিক এবং তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তবে শরীরে এই ভিটামিনের আধিক্য বা সূর্যালোক, কোভিড -১৯ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এমন কোনও প্রমাণ নেই।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অন্দরমহল থেকেই যদি এই রকম অবৈজ্ঞানিক দাবি ওঠে, তাহলে করোনাভািরাস প্রাদুর্ভাবের সময় আদৌ ভারতে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওযা যাবে কি না সেই নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আলপটকা মন্তব্য করে পুলিশি সাজার মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষ, ডাক্তার থেকে রাজনৈতিক নেতাদেরও। জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি ছাড় পাবেন?

 

Share this article
click me!